মুজিবনগরে “সরস্বতী খাল” পুনঃখনন ক্ষতিপূরণ চায় জমির মালিকরা
- প্রকাশের সয়ম :
বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২০
-
১২৬
বার দেখা হয়েছে

মেহেরপুর সংবাদদাতা।। মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার “সরস্বতী খাল” পুনঃখনন করায় ভূমি মালিকদের ক্ষতিপূরণের জন্য গন সাক্ষরযুক্ত আবেদন জমা সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে । প্রায় ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য সরস্বতী খাল উপজেলার কেদারগঞ্জ বাজার হতে বাগোয়ানের দিকে প্রবাহিত হয়েছে। কালের বিবর্তনে খালটি ভরাট হয়ে আবাদি কৃষি জমিতে পরিনত হয়ে যায় অনেক বছর আগে। এতে এলাকার অনেকে লোকজন বন্দোবস্ত নিয়ে সিএস ও এসএ রেকর্ডে লিপিবদ্ধ করে সরকারে সেরেস্তায় খাজনা দিয়ে ভোগদখল করে আসছিল। ১৯৭৫ সালে ক্ষমতার পট পরিবর্তন হওয়ায় জিয়া সরকার প্রশাসনিক ক্ষমতাবলে জমির মালিকদের কোনরুপ অবগত না করিয়ে এবং কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ না দিয়ে খালটি পুনঃখনন করে। খালটি পুনঃখননের পর এলাকার রেকর্ডীয় প্রজাগন সরকারি সেরেস্তায় খাজনাদি দিয়ে বর্ষা মৌসুমে মাছ চাষ ও শুকনা মৌসুমে ধান চাষ করে আসছিল। অতঃপর আরএস জরিপ শুরু হলে খালের অধিকাংশ জমি ভূমি মালিকদের নামে এবং অবশিষ্ট জমি সরকারের খাস খতিয়ানে লিপিবদ্ধ হয়। সরকারের খাস খতিয়ানে লিপিবদ্ধ হলেও ভূমি মালিকগন উক্ত ভ্রমাত্মক রেকর্ড সংশোধনের জন্য দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার মধ্যে কিছু মামলায় প্রজারা ডিগ্রীপ্রাপ্ত হয়েছেন। অবশিষ্ট মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
এদিকে “সরস্বতী খাল” পুনঃখননকে স্বাগত জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তবে ক্ষতিপূরণ না পাওয়ায় প্রকৃত ভূমি মালিকগন যাতে তাদের নায্য অধিকার হতে বঞ্চিত করা না হয় সেজন্য সরকারের জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি সহ বিভিন্ন সরকারি অফিসে গন সাক্ষরযুক্ত আবেদন পাঠানো হয়েছে।
গেল ১৯ এপ্রিল সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি ”সরস্বতী খাল” পুনঃখনন উদ্বোধন করেছেন। এতে ভূমি মালিকগনকে কোন প্রকার ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। এমনকি বিধি সম্মতভাবে অধিগ্রহণ না করে খালটি পুনঃখনন করা হচ্ছে। এতে জমির মালিকগন পরিবার পরিজন নিয়ে ক্ষতির মুখে পড়েছে।
ভবরপাড়া গ্রামের আবুল হোসেন, ছমিরউদ্দিন মোল্লা ও শহিদুল মোল্লা জানান, সোনাপুর মৌজায় সিএস ২৫২ ও ১২১ খতিয়ানে ২.৫০ একর জমি আমাদের দাদা মৃত বশির উদ্দিন মোল্লার নামে, একই মৌজায় এসএ ৩০৬ ও ১৩২ খতিয়ানে ওই জমি আমাদের পিতা মৃত মোবারক উদ্দীন মোল্লার নামে এবং আরএস ২৯ নং সোনাপুর মৌজায় ৩৮১ খতিয়ানে ২১৯২, ২২৬৯ ও ২২৭০ দাগে ওই জমি আমাদের নামে রেকর্ড ভূক্ত। ওই জমিতে ফলজ ও বনজ গাছ লাগিয়ে ভোগ করে আসছি। এমন কি বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক মুজিবনগর শাখা থেকে ১০ লাখ টাকা ওই জমির বিপরীতে লোন করেছি। যার সিসি নং-১১, তারিখ-১৪/০৩/২০১৩। ওই জমির ক্ষতিপূরণ না করে অধিগ্রহণ করলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।
মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উসমান গনি জানান, অভিযোগ আমি পায়নি। অভিযোগ পেলে জেলা প্রশাসকের সাথে পরামর্শ করে ব্যবস্থা প্রহণ করা হবে। এছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড চুয়াডাঙ্গার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয় প্রশাসনকে সাথে নিয়ে আমরা খালের যতটুকু জায়গা ততটুকুই খনন করছি। আমরা অন্যের জমিতে যাব না। কারণ এটা আমার স্বর্থে নয়। খালটি এলাকার জনগনের স্বার্থে পুনঃখনন করা হচ্ছে।
Please Share This Post in Your Social Media