আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্বঃ বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের নড়বড়ে অবস্থার মাঝেও মানুষের আস্থার জায়গায় পৌঁছেছে মোবাইল ব্যাংকিং। আগে টাকা জমা দেয়া ও উত্তোলনসহ নানা কাজে ব্যাংকে যাওয়ার প্রয়োজন হতো। মোবাইল ব্যাংকিং প্রায় ৭০ শতাংশ কাজকেই নিয়ে এসেছে হাতের মুঠোয়।
অফিস আওয়ার ছাড়া টাকা জমা, পাঠানো ও উত্তোলন করা যেত না। এখন এসব সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে। বাসার কাছের ছোট্ট দোকানে বা ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন থেকেই লেনদেন করা যাচ্ছে, টাকা তোলা ও জমা রাখা যাচ্ছে।
ব্যাংক খাতের খারাপ অবস্থার কারণে কয়েকটি ব্যাংকের আমানত তেমন না বাড়লেও দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে মোবাইল ব্যাংকিং। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অগ্রগতি ধরে রাখতে দেয়া হচ্ছে বিশেষ সুবিধাও।
কেনাকাটা থেকে শুরু করে রেস্টুরেন্টে খাবার বিল পরিশোধ, সবকিছুই করা যাচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। কেনাকাটায় গ্রাহকরা পাচ্ছে ক্যাশ ব্যাক অফার। ফলে গ্রাহকদের সাশ্রয় হচ্ছে অনেক টাকা। এতেই শেষ নয়, সেবামূল্য পরিশোধের সুবিধাও রয়েছে মোবাইল বাংকিংয়ে। বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ করা যায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। বেতন-ভাতা প্রদান, বিদেশ থেকে টাকা পাঠানো অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রেরণও সহজ করেছে মোবাইল ব্যাংকিং।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে লেনদেন একটি বড় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ সুবিধার ফলে শহর থেকে গ্রাম, প্রত্যেক জায়গায় যেকোনো সময় প্রয়োজন হলেই লেনদেন করা যায় এবং সেটি কম সময়ে ও কম খরচে।
এ সেবার মান বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর এ সেবা সম্পূর্ণ নিরাপদও। তাই খুব সহজেই গ্রাহকের আস্থা অর্জন করে ব্যাপক প্রসার ঘটেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরে জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পি টু পি লেনদেনের পরিমাণ আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেড়েছে ২ হাজার ৯২৮ কোটি টাকা। জুনে এই লেনদেন ছিল ৮ হাজার ১২২ কোটি টাকার ঘরে। অন্যদিকে, আগস্টে দৈনিক লেনদেন ছাড়িয়েছে ১ হাজার ১৪৬ কোটি টাকা। পুরো আগস্টে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৫ হাজার ৫১৩ কোটি টাকা।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক আবু সালেহ বলেন, দেশের সকল জায়গাতেই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সুবিধা থাকায় নগদ টাকা নিয়ে আর বের হতে হয় না। ফলে টাকা হারানো বা ছিনতাইয়ের ঝুঁকিও থাকছে না। মোবাইল হারিয়ে গেলে বা চুরি-ছিনতাই হলেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকার কারণে যে কেউ চাইলেই টাকা উত্তোলন করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা দিচ্ছে ১৬টি ব্যাংক। মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট ৯ লাখ ৫১ হাজার ১১৫ জন।
আবা/রিফাত
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম