নিজস্ব প্রতিবেদক।। যশোরে পুলিশের অভিযানে তৎপরতায় দ্রুত সময়ের মধ্যে মণিরামপুর থানার জামতলা এলাকা থেকে নগদের ডিস্টিবিউটরের প্রাইভেট ঠেকিয়ে ৩৫ লক্ষ টাকা ছিনতাই এর ঘটনায়-৩২ লক্ষ টাকা উদ্ধারসহ ৭জন-কে গ্রেফতার করছে পুলিশ।
বুধবার (১৮ জুন ) বিকাল ৩টার সময় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন যশোর জেলার এডিশনাল এসপি নুরি আলম সিদ্দিকী। এসময় তিনি বলেন,গতকাল মঙ্গলবার-সকাল অনুমান ৯টা ৪৫ মিনিটের সময় নগদের ডিস্টিবিউটর মোঃ রবিউল ইসলাম একটি প্রাইভেট কার যোগে যশোর হতে মণিরামপুর যাওয়ার সময় মণিরামপুর থানার জামতলা নামক স্থানে পৌছাইলে পিছনের দিক হতে দুই’টি মোটরসাইকেল যোগে অজ্ঞাতনামা আসামীরা হাতে ধারালো চাপাতি’সহ গাড়ির গতিরোধ করে।
একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা আসামীরা মোটরসাইকেল হতে নেমে প্রাইভেটকারের গ্লাস ভাংচুর করে ও ধারালো চাপাতি দিয়ে হত্যার ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রাইভেটকারে থাকা নগদের ডিস্টিবিউটর এর সঙ্গে থাকা নগদ হাউজের নগদ ৩৫ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। উক্ত বিষয়ে ভিকটিম রবিউল ইসলাম জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে ঘটনার বিষয়ে জানান।
উক্ত ঘটনাটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর হওয়ায় যশোর জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার রওনক জাহান স্যারের নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নুর-ই-আলম সিদ্দিকী এর তত্বাবধানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশার এর নেতৃত্বে সহকারী পুলিশ সুপার ইমদাদুল হক ও যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) এর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মঞ্জুরুল হক ভুইয়া,মণিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ বাবলুর রহমান ও সাইবার ক্রাইম ইনভেষ্টিগেশন সেল,যশোর সহ ডিবি’র এসআই রাজেশ কুমার দাস,এসআই মোঃ কামাল হোসেন,এসআই খান মাইদুল ইসলাম রাজীব,এসআই বিপ্লব সরকার সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ তাৎক্ষণিক অপরাধীদের সনাক্ত এবং গ্রেফতারের নিমিত্তে অভিযান পরিচালনা শুরু করে।
এছাড়া ঘটনার আগে ও পরের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা এবং পুলিশি কলাকৌশল প্রয়োগ করে ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করা হয়। পরবর্তীতে ডিবি সহ জেলা পুলিশের একাধিক টিম বিভিন্ন স্থানে আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান পরিচালনা করে। এছাড়াও ছিনতাইয়ের ঘটনার কাজে ব্যবহৃত একটি RTR মোটরসাইকেলের সূত্র ধরে আসামী মোঃ সাগর হোসেন(২৪)কে ঝিকরগাছা থানার খোষালনগর গ্রাম হতে গ্রেফতার পূর্বক উক্ত RTR মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়।
উক্ত আটককৃত আসামী মোঃ সাগর হোসেন(২৪)কে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্য মোতাবেক ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদেরকে যশোর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,নগদের টাকা বহনকারী প্রাইভেটকার চালক মোঃ ইউসুফ আলী সাজু (৩১) এর যোগশাজোসে তারা উল্লেখিত ছিনতাইয়ের ঘটনা সংঘটিত করে।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো: (১) মোঃ ইউসুফ আলী সাজু (৩১), পিতা-মৃত খোরশেদ আলম মির্জা,গ্রাম-পোষ্ট অফিস পাড়া,থানা-কোতয়ালী,জেলা-যশোর। (২) মোঃ রনি গাজী(২৬),পিতা-মোঃ ইসরাইল গাজী,গ্রাম-বাকড়া দিগদানা,থানা-ঝিকরগাছা,জেলা-যশোর। (৩) মোঃ সাগর হোসেন(২৪), পিতা-মোঃ মনিরুল ইসলাম,গ্রাম -খোষাল নগর,থানা-ঝিকরগাছা,জেলা-যশোর।(৪) মোঃ সুজন ইসলাম(৩৩),পিতা-মোঃ রাশেদুল ইসলাম গ্রাম বাকড়া দিগদানা,থানা-ঝিকরগাছা, জেলা-যশোর। (৫) মোঃ সোহেল রানা(২১), পিতা-মজনুর রহমান,গ্রাম-খোষাল নগর,থানা-ঝিকরগাছা, জেলা-যশোর। (৬) মোঃ ইমাদুল গাজী(৪৬),পিতা-মৃত দ্বীন মোহাম্মদ,গ্রাম-বাকড়া দিগদানা,থানা-ঝিকরগাছা, জেলা-যশোর। (৭) মোঃ নাসিম গাজী(১৯), পিতা-মোঃ ইমদাদুল গাজী,গ্রাম-বাকড়া দিগদানা, থানা-ঝিকরগাছা,জেলা-যশোর।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদের দেওয়া তথ্য মোতাবেক ঝিকরগাছা থানার দিগদানা গ্রামের আটক আসামী ইমদাদুল গাজী(৪৬) এর হেফাজত হইতে ১৬ লক্ষ ৫৫ হাজার ৫ শত টাকা এবং আটক আসামী মোঃ সুজন ইসলাম(৩৩) এর বাড়ি থেকে ১৫ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা সহ সর্বমোট ছিনতাইকৃত ৩২ লক্ষ ৫ হাজার ৫ শত টাকা উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীরা জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়-টি স্বীকার করেছে।
উক্ত বিষয়ে যশোর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নূর-ই-আলম সিদ্দিকী বলেন,এসপি স্যার এর নির্দেশে জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন চুরি,ডাকাতি,অপহরণ,হত্যার রহস্য উদঘাটন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এই অভিযানটিও তার একটি অংশ। এছাড়া গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে আদালতে পাঠানো হইতেছে। তিনি আরও বলেন বাংলাদেশ পুলিশের শপথ-দেশের মানুষকে রাখবো নিরাপদ,সত্য উদঘাটনে বন্ধ পরিকর,যশোর জেলা পুলিশ।
এবিডি.কম/শিরিন আলম
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম