আসাদুর রহমান, শার্শা প্রতিনিধি : হাইকোর্টের রায়কে উপেক্ষা করে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে অবাধে চলাচল করছে অবৈধ নসিমন-করিমন। প্রতিনিয়ত ঘটছে দূর্ঘটনা। পঙ্গুত্ব ও নিহত হচ্ছে পথচারিরা। ঢাকা-কোলকাতা মহাসড়কের মধ্যবর্তী যশোর-বেনাপোল এই সড়কে নসিমন-করিমন বিরোধী অভিযান না থাকায় অবাধে চলাচল করছে মরন যানটি।
তবে মাঝে মধ্যে নাভারণ হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে দু’একটি অবৈধ নসিম-করিমের বিরুদ্ধে জরিমানা আদায় করলেও প্রতিনিয়ত অবাধে চলছে শতশত নসিমন-করিমন। সরকারের নিষেধাজ্ঞা ও প্রশাসনের এত নজরদারী থাকা সত্বেও কেন বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ ও পরিবেশের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর নসিমন-করিমনসহ সকল প্রকার তিন চাকার যান।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, নাভারণ হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশ অভিযান শেষ হতে না হতেই একটি সিন্ডিকেট লাখ লাখ টাকার চাদাঁবাজির মাধ্যমে অবৈধ নসিমন-করিমের চলাচল সুযোগ সৃষ্টি করে দিচ্ছে। বিগত কয়েক বছরে স্যালো ইঞ্জিন চালিত ৩ চাকার স্থানীয় ভাবে তৈরী পরিবেশের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর নসিমন-করিমন ও ভটভডি যশোর-বেনাপোল মহাসড়কে ব্যাপক ভাবে চলাচল বৃদ্ধি পেয়েছে। এসব অবৈধ যান মালামাল বহন করার কথা থাকলেও যাত্রী বহন করে আসছে। কোন কোন ক্ষেত্রে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় দূর্ঘটনার কবলে পড়ে অকালে জীবন দিতে হয়েছে অসংখ্য মানুষকে। নসিমন-করিমন ও ভটভটি মহাসড়কে অবাধে চলাচলের কারনে সড়কে প্রকট আকারে যানজট তৈরী হচ্ছে।
অভিযোগ রয়েছে, মহাসড়কে চলাচলের জন্য মাসিক ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা হারে চাঁদা দিয়ে বিভিন্ন মহলকে সন্তুষ্ট করার মাধ্যমে চলাচলের সুযোগ পেয়ে যায় নসিমন-করিমনের চালক ও মালিকরা। বিগত সময় এই যান বন্ধের জন্য অনেক অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে কিছুদিন থেমে থাকার পর আবার আগের মত শুরু হয়ে যায় চলাচল।
যশোরের নাভারন হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কেএম রফিক উদ্দিন জানান, মহাসড়কে চলাচলকারী অবৈধ নসিমন-করিমনের চালকের বিরুদ্ধে প্রতিদিন ৩/৪টি করে মামলা দেওয়া হচ্ছে। এবং হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম