নিজস্ব প্রতিবেদক।।যুক্তরাজ্যে বসবাসকারি বাংলাদেশি নাগরিক সুমাইয়া আক্তারের স্বামী ফয়সাল আহম্মেদের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলে যুক্তরাজ্যে যেতে চান ২ সন্তানের জননী ফারজানা আক্তার রুপা।
জানা যায়, ফারজানা আক্তার রুপা প্রায় ২৫ বছর ধরে তিনটি সংসার করেন। সেই সকল সংসারে ২৩ বছর বয়সের একজন মেয়ে এবং ১৬ বছর বয়সী একটি ছেলে আছে। স্বামী পরিত্যাক্ত এই রুপা যুক্তরাজ্যে যেতে যোগাযোগ করেন যুক্তরাজ্যের সিটিজেন সিলেটের ছেলে ফয়সাল আহমেদের সঙ্গে। চলতি বছরের জানুয়ারীতে দেশে এসে ফয়সাল থাকছেন রুপার বাসাতেই। ফয়সালও এই নারীর কাছ থেকে বিপুল পরিমানে টাকা নিয়ে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে নিতে যাচ্ছেন লন্ডনে। খবর শুনে পাগল প্রায় হয়ে গেছেন স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার। লেখা পড়ার কারণে ইচ্ছে থাকা সত্তেও বাংলাদেশে আসতে পারছেন না। স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার। যোগাযোগ করলে নানা ভাবে হুমকী ও আপত্তিকর কথা বলেন পরকিয়া প্রেমিক দুউ সন্তানের জননী রুপা।
এছাড়া পুরান ঢাকার চকবাজার এলাকার নূরবক্স লেন এলাকায় খবর নিলে এলাকাবাসি জানায়, ফারজানা আক্তার রুপা এর আগে অন্তত তিনটি বিয়ে করেছেন। যেখানে দুটি সন্তান সাথেই থাকছেন। মেহিলার চরিত্র ভালো না তাই সমাজের লোকজন বেশি কথা বলে না। এলাকার বিভিন্ন প্রভাবশালী লোকজনের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক থাকার কারণে কেউ কোন কথা বলার সাহস পায় না। যা ইচ্ছা তাই রুপা করে বেড়ায়।
যোগাযোগ করলে ফয়সাল আহমেদের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ফয়সাল আহম্মেদের (৪২) সঙ্গে ২০১৯ সালের সহিত পহেলা অক্টোবর বিয়ে হয়। বিয়ের পর ফয়সাল আহম্মেদ সুমাইয়া আক্তারকে নিয়ে যান যুক্তরাজ্যে। তাদের সংসার চলছে সুখে শান্তিতে। বিয়ের সময় নেওয়া হয় বিপুল পরিমানের টাকা। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে আরও মোটা অংকের যৌতুক দাবি করে আসছে ফয়সাল। চলতি বছরের ৯ জানুয়ারী আমি বাংলাদেশে আসার পর থেকে সে পরকিয়ায় লিপ্ত হয়।
তিনি বলেন, আমাকে না জানিয়ে যুক্তরাজ্যের সিটিজেন বাংলাদেশি ফয়সাল আহমেদও বাংলাদেশে আসে। এ সময় খবর পেয়ে স্বামী ফয়সাল আহম্মেদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তখন আমার বাসয় যান ফয়সাল। যেখানে আমি ছিলাম। সেখানে ফয়সাল আহম্মেদ আমার সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ করে এবং বিশ লক্ষ্য টাকা যৌতুক দাবি করে। পরে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি আমি লন্ডনে ফিরে আসার সময় আমার বাসায় গিয়ে বিশ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে, তা না হলে আমাকে লন্ডনে আসতে দেবে না বলে হুমকি দেয়।
“এমনকি তালাক দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করবে বলে হুমকি দেয়। এছাড়া মারধরসহ বিভিন্ন হুমকি দিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। আমি এবং আমার পরিবারের সভাই বিষয়টা সমাধান করার চেষ্টা করলেও ফয়সাল আহম্মেদ কথা না শুনে বাসা থেকে বের হয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি লন্ডনে এসে শুনতে পারলাম আমার স্বামী বর্তমানে বাংলাদেশে অবস্থানরত ফয়সাল আহম্মেদ আমার কাছে যৌতুক না পেয়ে পরকিয়া করে বেড়াচ্ছে। যোগাযোগ করে জানতে পারি ফয়সাল আহম্মেদ ফারজানা আক্তার রুপার বাসায়ই থাকছে। হয়তো বিয়ে করে ওই মহিলাকে লন্ডনে নিয়ে আসবে। ওই মহিলার ২৩ বছর বয়সের একজন মেয়ে এবং ১৬ বছর বয়সী একটি ছেলে আছে।”
ফারজানা জানান, এটা শোনার পর আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। এরপর লন্ডনে আমি ফয়সাল আহম্মেদের বাসা থেকে বের হয়ে যেতে বাধ্য হই। বাংলাদেশে পরকিয়ায় লিপ্ত রুপা আমাকে হোয়াসঅ্যাপ ও মেসেঞ্জারে নিয়মিত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমি লন্ডনে থাকলেও বর্তমানে আমি মানসিক রোগী হয়ে যাচ্ছি, যা আমার পরাশোনায় ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করছে। এমনকি আমি জীবন যুদ্ধে ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছি।
“বাংলাদেশে বসে ফয়সালের পরকিয়া প্রেমিকা অনলাইনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আর ফয়সাল কোন প্রকার খোঁজখবর রাখে না।”এ বিষয়ে ফয়সাল আহমেদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফারজানা আক্তার রুপা বলেন, ভাইয়া দেখেন আমি নিজেই এখানে প্রতারিত হয়েছি। ফয়সাল আহম্মেদ আমার সাথে মিথ্যা কথা বলে বিয়ে করেছে। তিনি বিদেশ থেকে যখন এসেছে তখন এক টাকাও আনেনি। আমার ৫ বছরের উপার্জন আমি ফয়সাল আহম্মেদের পিছনে খরচ করেছি। এছাড়া আমি জানতাম ফয়সাল আহম্মেদের ডিভোর্স হয়েছে। এখন আমি ডিভোর্স জেনে বিয়ে করে প্রতারিত হয়েছি।
তিনি আরও বলেন,সুমাইয়া আক্তার নামে যিনি আমার স্বামীর প্রথম স্ত্রী দাবি করছেন তিনি আমার সাথে যোগাযোগ করে বলতে পারতেন। কিন্তু তিনি এসব করেনি। এভাবে বিভিন্ন জায়গায় আমার নামে অপপ্রচার করে আমার সুনাম নষ্ট করা হচ্ছে। আমার স্বামী যেহুতু আজ বিদেশে চলে গেছে এখন তিনি যদি আমার সাথে যোগাযোগ না করে তাহলে আমি তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।
এবিডি.কম/শিরিন আলম
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম