আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্ক।। যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে, আক্রান্তে সংখ্যাও আট লাখ ছুঁই ছুঁই। এখনো করোনায় মৃত্যু ও আক্রান্তের দিক থেকে বিশ্বে শীর্ষে অবস্থান করছে দেশটি। এর পরও সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য জারি করা লকডাউনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে দেশটি রিপাবলিকান পার্টির সমর্থক কিছু মানুষ। লকডাউনের প্রতিবাদে তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছেন। তাদের দাবি, ‘মুক্তভাবে বাঁচতে এবং মরতে দাও’।
অন্যদিকে ডেমক্র্যাটিক পার্টির কিছু সমর্থক ট্রাম্প টাওয়ারের সামনে লাশ (ডামি) নিয়ে বিক্ষোভ করেছে। তারা স্লোগান দিচ্ছে ট্রাম্পের কারণেই হাজার হাজার আমেরিকানের মৃত্যু হয়েছে করোনাভাইরাসে। আবার লোকজনকে রাস্তায় নামানো হয়েছে আরও বেশি মানুষ মারার জন্য।
বর্তমান পরিস্থিতিতে খোদ প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেও এই লকডাউন তুলে দেয়ার পক্ষে। তিনি পর পর কয়েকটি টুইট করে জানান, দ্রুত সাধারণ জীবনে ফিরতে হবে দেশের মানুষকে। এর পরই সেই একই দাবিতে রাস্তায় নেমে আসেন বহু মানুষ। তাদের দাবি, ‘‘কেউ চাইলে স্বেচ্ছায় মানুক লকডাউন। কিন্তু যারা মানতে চান না, তাদের ছেড়ে দেয়া হোক।’’
যদিও স্বাস্থ্যকর্মীরা বলছেন, ‘‘এই লকডাউন হঠাৎ করে উঠে গেলে করোনা পরিস্থিতি একেবারেই হাতের নাগালের বাইরে চলে যাবে। শুধু তাই নয়, তাদের আশঙ্কা, এই ধরনের গণজমায়েতও বিপদ বাড়াচ্ছে।’’
এরই মধ্যে আর এক অংশের মানুষ পৌঁছে গেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মালিকানাধীন হোটেলের সামনে। সেখানে মৃতদেহ বহন করার ব্যাগ রেখে বিক্ষোভ করছেন তারা। তাদের দাবি, ‘ট্রাম্প তার দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে অযোগ্যতা দেখিয়েছেন। তিনি জনগণের জীবন নিয়ে জুয়া খেলছেন। ট্রাম্পের প্রশাসনিক ব্যর্থতার কারণে করোনায় এতো মৃত্যু, সংক্রমণ এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।’
মহামারি পরিস্থিতিতে যারা লকডাউন তুলে দেয়ার যারা দাবি করছে তা অকল্পনীয় হলেও, বাস্তব পরিস্থিতি বলছে, এই লকডাউন তাদের জীবিকা কেড়ে নিয়েছে। সরকারও তাদের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিতে পারছে না। ফলে তারা সবাই চাইছেন আবার কাজে ফিরতে, সাধারণ জীবনযাপন করতে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় প্রতিটি স্টেটে ফুডব্যাংক চালু হয়েছে। সেখানে এসে মানুষজন খাবার নিচ্ছেন। একই অবস্থা নিউইয়র্ক সিটিতেও। এক সময়ে কেবল গৃহহীনদের জন্যই এই খাবার দেয়া হতো। এখন লকডাউনের সময়ে এমন বহু মানুষ আসতে বাধ্য হচ্ছেন, যারা কখনও এভাবে খাবার নিতে আসেননি।-ঠিকানা ডট ইউএস