রিফাত শরীফ।। ঠিক কবে কখন ভালোবাসার দিন আলাদা করে হয়ে উঠেছিল সেই ইতিহাস নিয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে। সবচেয়ে বহুল প্রচলিত গল্প রোমান যাজক সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে নিয়ে। তার আত্মত্যাগের নানা কাহিনী ঘিরেই নির্ধারিত হয়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসার দিন।
বলা হয়ে থাকে, ধর্মযাজক সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন ছিলেন খ্রিস্টধর্ম প্রচারক, অন্যদিকে তৎকালীন সম্রাট দ্বিতীয় ক্লডিয়াস ছিলেন বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজায় বিশ্বাসী। সম্রাটের পক্ষ থেকে ভ্যালেন্টাইনকে দেব-দেবীর পূজা করতে বলা হলে ভ্যালেন্টাইন তা অস্বীকার করায় ২৭০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
আরওঃ নানা আয়োজনে পালিত ভালোবাসা দিবস
তবে অন্য একটি দল দাবি করে, স্নেহময় যাজক সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন কারাবন্দি হলে তরুণ-তরুণীরা তাকে ফুল নিয়ে দেখতে আসতো। সে সময় এসেছিল কারারক্ষীর অন্ধ মেয়েও। সেই মেয়ে সেইন্টের ক্ষমতাবলে দৃষ্টি ফিরে পায়। তখন তারুণ্যের উচ্ছ্বাস ঠেকাতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২৬৯ খ্রিস্টাব্দের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাকে মৃত্যুদণ্ড দেন সম্রাট ক্লডিয়াস।
আরেক ইতিহাস দাবি করে, সেনাবাহিনীতে লোক সংকট হলে তরুণ-তরুণীর বিয়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন সম্রাট ক্লডিয়াস। যাতে অবিবাহিত তরুণেরা সৈনিক হতে আগ্রহ প্রকাশ করে। সম্রাটের এই নির্দেশ প্রথম অমান্য করেন সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামের এক ধর্মযাজক। তিনি ভালোবেসে মার্সিয়া নামের এক তরুণীকে বিয়ে করেন এবং নিজে দাঁড়িয়ে থেকে অন্যদের বিয়ে দেন। আদেশ অমান্যের জন্য ভালেন্টাইনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। তার স্মরণেই ভালোবাসা দিবস পালিত হয়ে আসছে। এটিই সবচেয়ে প্রচারিত সংজ্ঞা।
দিবসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হয়ে থাকে, যদিও অধিকাংশ দেশেই দিনটি ছুটির দিন নয়।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রাজু
হেড অফিস : প্রস্তাবিত (১ম তলা),৯৮, নয়াপল্টন,ঢাকা-১০০০
বানিজ্যিক এলাকা: বাইপাইল আশুলিয়া,সাভার,ঢাকা।
মফস্বল কার্যালয়: মেইন রোড (২য় তলা),কেশবপুর,যশোর।
নিউজ-মেইল: dailyamaderbd24@gmail.com
নিউজ রুমঃ রাজু:- ০১৭১১-১৩৯৪২০
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম