আমিনুল ইসলাম।। পীরগাছা থানা এলাকায় অল্প আয়ের খেটেখাওয়া মানুষেরা পড়েছেন অনেকটাই বিপদে, এরই মধ্যে অনেকের আয়ের পথ বন্ধ হয়েছে। অতি দরিদ্র, দুস্থ, দিনমজুর, হরিজন সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধী, ভ্যান চালক, রিক্সা চালক, দিনমজুর যৎসামান্য আয় করা মানুষ গুলো পরিবারের সদস্যদের দু’বেলা খাবার যোগানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে সেই অসহায় মানুষদের পাশে দাড়ালেন বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জ্বল নক্ষত্র, রংপুর জেলা পুলিশের সম্মানিত অভিভাবক, সুযোগ্য পুলিশ সুপার, জনাব বিপ্লব কুমার সরকার, বিপিএম (বার) পিপিএম, পুলিশ সুপার, রংপুর।
৬ এপ্রিল/২০ (সোমবার) রংপুর জেলা পুলিশের আর্থিক সহযোগিতায় পীরগাছা থানাধীন ৩নং ইটাকুমারি ইউনিয়নের কালিগঞ্জ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে চেয়ারে বসিয়ে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে অতি দরিদ্র, দুস্থ, দিনমজুর, হরিজন সম্প্রদায়, প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুক, দিন মজুর, রিক্সা চালক, ভ্যানগাড়ী চালক, পরিবহন শ্রমিক, রেষ্টুরেন্ট শ্রমিক, ফেরিওয়ালা ও চায়ের দোকানসহ কর্মহীন অসহায় দুইশতাধিক পরিবারের মাঝে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় প্রত্যেক পরিবারকে ০৫কেজি চাল, ০২কেজি ডাল, ০৩কেজি আলু, ০১কেজি পেয়াজ, ০১ লিটার সয়াবিন তেল, ৫০০ গ্রাম লবণ, ও ০১টি সাবান দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার রংপুর মহোদয় বলেন, করোনাভাইরাস মহামারিতে বিশ্ব থমকে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে নিন্ম আয়ের দরিদ্র মানুষের ওপর। তাদের আয় বন্ধ হয়ে গেছে। সারাদেশে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটি সকলের জন্য মঙ্গলজনক কিন্তু অনেক নিন্ম আয়ের মানুষ সাময়িক সময়ের জন্য সমস্যায় পড়েছেন। তিনি বলেন, আমি এ জেলাতে যতদিন দ্বায়িত্বে থাকবো ততদিন পর্যন্ত অসহায় মানুষের সেবা দিয়ে যাব। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শেষ না হওয়া ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসা পর্যন্ত রংপুর জেলা পুলিশ এ ধরনের উদ্দ্যোগে অব্যাহত থাকবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, জনাব মোঃ আবু মারুফ হোসেন, পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদে কর্মরত (প্রশাসন ও অপরাধ) রংপুর। জনাব মোঃ আরমান হোসেন পিপিএম, সহকারী পুলিশ সুপার, (সি-সার্কেল) রংপুর, এবং পীরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রেজাউল করিমসহ পীরগাছা থানার পুলিশ সদস্য বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম