প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২২, ২০২৫, ৩:০৩ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ এপ্রিল ১৩, ২০২১, ৯:২৫ অপরাহ্ণ
শয্যা সংকটে চরফ্যাশন হাসপাতাল,নেই ডায়রিয়ার আলাদা ওয়ার্ড

এআর সোহেব চৌধুরী চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি।। তীব্র তাপমাত্রায় বিপর্যস্ত জনজীবন কাঠফাটা রৌদ্রের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় চরফ্যাশন উপজেলায় ছড়িয়ে পড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ । আর এ ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক ও সেবিকারা। ১০০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে শয্যা ও বেডের অভাবে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশ ছাড়াই আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে হাসপাতালের মেঝেতে।
আবহাওয়ার পরিবর্তনজনিত কারণে গরমের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ। সরজমিনে দেখা যায়, ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীদের ভিড় থাকলেও নেই আলাদা ডায়রিয়া বিভাগ। হাসপাতালে প্রতিদিন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী গড়ে ৫০থেকে ৬০ জন চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন। এদের মধ্যে নারী, শিশু ও মধ্য বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি।
হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় বেড কম থাকায় রোগীদের মেঝেতে থেকেই চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী গত দুই মাসে চরফ্যাশন উপজেলায় ১হাজার ৮শত ৭০জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। তবে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা আরো বেশী বলে বেসরকারি স্বাস্থ্য সংস্থাগুলো দাবি করেন।
ডায়রয়িা রোগীর এক স্বজন মো. আরিফ বলেন, শিশুর ডায়রিয়া ও বমি দেখা দিলে দ্রুত সরকারি হাসপাতালে নিয়ে এসেছি, তাকে স্যালাইন দেয়া হয়েছে। ডায়রিয়া রোগী সেতারা বেগম জানান, তিনি ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ৩দিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন তবে হাসপাতালে শয্যার অভাবে সেঁতসেঁতে মেঝেতেই বিছানা করেছেন।
সাধারণ রোগীসহ ডায়রিয়া রোগীদের চাপ বাড়লেও তাদের ঠিকমত চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে বলে জানান কর্তব্যরত সেবিকারা। হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স আকলিমা বলেন, রোগীদের চাপ বেশি থাকায় ডায়রিয়া আক্রান্তদের চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। হাসপাতালে ডায়রিয়ার রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট কোন আলাদা ওয়ার্ড নেই। শয্যার অভাবে এসব রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে সাধারণ ওয়ার্ড করিডরের মেঝেতে রেখে।
বিছানাসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্রের অভাবে নানান দূর্ভোগে পড়তে হচ্ছে রোগী ও স্বজনদের। বৃহৎ এ উপজেলার ৫০ শয্যা হাসপাতালটি সম্প্রতী নবনির্মিত ১০০ শয্যায় উন্নিত হলেও আসবাব পত্রের অভাবে বিপুলসংখ্যক এই রোগীদের চিকিৎসা সেবা চলছে ৫০ শয্যার জনবল ও পুরাতন সরঞ্জাম এবং আসবাবপত্র দিয়ে। প্রায় ৬লাখ জনগনের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সেবা বাড়ানোর দাবি রোগীসহ সাধারণ জনগণের।
জনবল ও শয্যা সংকটের মধ্যেও সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিতের চেষ্টা চলছে বলে জানান, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মাহাবুব কবির। তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে হটাৎ করে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় ও খাদ্য পয়জোনিংয়ের জন্যে ডায়েরিয়ার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শোভান কুমার বসাক বলেন, ডায়রিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন সরবরাহ রয়েছে। গরমের কারণে ডায়রিয়া বেড়েছে। তবে এর প্রকোপ তেমন বেশি না হলেও আক্রান্ত নিয়ন্ত্রণে আছে।
আমাদেরবাংলাদেশ.কম/সিয়াম
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম