আহসান টিটু,বাগেরহাট:শরণখোলায় নিজ মাদ্রাসায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামী মাদ্রাসা সুপার মাওলানা ইলিয়াস হোসেন জোমাদ্দারকে (৪৮) ফকিরহাট এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।আজ বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।আটক ইলিয়াস হোসেন শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা রাশিদিয়া ইবতেদায়ী মাদরাসার সুপার এবং একই উপজেলার
পূর্ব রাজাপুর গ্রামের মৃত আঃগফফার জোমাদ্দারের ছেলে পিবিআই এর বাগেরহাট জেলা প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মোজাম্মেল হক জানান, মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ মামলাটি গত ১৪ সেপ্টেম্বর পিবিআই এহস্তান্তর করা হয়মাদ্রাসা সুপার রাজধানী সহ বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাকে গ্রেফতারের জন্য এর আগে গাজিপুর এবং পিরোজপুরেও অভিযান পরিচালনা করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে কাটাখালী এলাকা থেকে সে বাস যোগে পালানোর সময় তাকে আটক করা হয়।
গ্রেফতার মাদ্রাসা সুপারইলিয়াছ জোমাদ্দারকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে তিনি জানান।গত ৮ আগস্ট বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার খোন্তাকাটা ইউনিয়নের উত্তর খোন্তাকাটা রাশিদিয়া (সতন্ত্র) এবতেদায়ী মাদরাসায় ছাত্রীটিকে ধর্ষনের ঘটনা ঘটে।লম্পট মাদরাসা সুপার ওইদিন বিকেলে মেয়েটির বাড়িতে যান।
সেখানে গেলে মা-বাবা ও পারিবারের লোকজন মেয়ের অসুস্থতার কথা সুপারকে জানালে তিনি বলেন, হয়তো মাদরাসা থেকে আসার পথে খারাপ বাতাস লেগেছে। তাই রক্তক্ষরণ হচ্ছে।পরে ওই লম্পট সুপার মেয়েটি কে তাবিজ ও পানিপড়া দেন। এতে সে সুস্থ না হওয়ায় স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয় তাতেও সুস্থ না হলে ঘটনার দুদিন পরমেয়েটি ধর্ষণের কথা স্বীকার করে। মা-বাবা মানসম্মানের ভয়ে গোপনে পার্শ্ববর্তী মোরেলগঞ্জ উপজেলার রাইসা ক্লিনিকে চিকিৎসা করালে সে কিছুটা সুস্থ হয় পরে ঘটনাটি ইউপি চেয়ারম্যানকে জানালে তিনি মামলার পরামর্শ দেন।পরে গত ১৯ আগস্ট রাতে নির্যাতিতা ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে ইলিয়াস হোসেন জোমাদ্দার নামের ওই সুপারের বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় মামলা করেন। মামলার পরে সুপার গাঢাকা দিয়েছিল।
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম