শার্শা প্রতিনিধি।। শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৩২ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগের ৩ দফা তদন্ত শেষ হওয়ার পরই বেরিয়ে আসছে সব দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য।
২০২০ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী এখানে যোগদানের পর থেকে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে অশালীন আচরনের ষ্টীম রোলার চালিয়েছেন। সেই সাথে একের পর এক অসংখ্য দুর্নীতি করেছেন। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চোখের সামনে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতি করলেও চাকরী চলে যাওয়ার ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়ায় সাহস নিয়ে সবাই মিলে প্রতিবাদ ক’রলে দুর্নীতির বেড়াজালে আটকে গেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। যশোরের এনজিও”হিডো”সুমাইয়া আক্তার,সাবিকুন্নাহার, খুশি,সম্রাট,সোহেলী আক্তার রিতু ও মিরা এই ৬ জন সদস্য নিয়োগ দিয়ে শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠালে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী ৫ জনের কাছ থেকে ৫ লাখ এবং সোহেলী আক্তার রিতুর কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা নিয়েছেন বলে তারা জানিয়েছেন।
এই ৬ জনের প্রত্যকের মাসিক বেতন ৮ হাজার টাকা উল্লেখ থাকলেও তাদের বেতন দেয়া হয় ৬ হাজার টাকা। সুমাইয়া আক্তার,খুশি স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলীকে টাকা দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। এবিষয়ে ডাক্তার ইউসুফ আলী টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করেন।
রোববার যশোর সিভিল সার্জন অফিসের তদন্ত টিম শার্শা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সম্পন্ন করেন। যশোর সিভিল সার্জন অফিসের তদন্ত টিমের সভাপতি ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাক্তার নাজমুস সাদিক রাসেল,প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান, মেডিকেল অফিসার ডাক্তার রেহেনা নেওয়াজ ও অভয়নগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার ওয়াহেদুজ্জামান।
আমাদেরবাংলাদেশ ডটকম/শিরিন আলম