ওবায়দুল ইসলাম।। জাতীয় পতাকার রঙ অনুসরণ করে গাইবান্ধার একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিঁড়িসহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গা আল্পনা আঁকা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টিকে জাতীয় পতাকার সঙ্গে তুলনা করে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করে প্রচারণা চালানো হয়েছে। ঘটনাটি গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ী ইউনিয়নের উত্তর গিদারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, চিত্রশিল্পী কেবল বিদ্যালয়টি রঙ করেননি। রঙের সঙ্গে নান্দনিক সব চিত্র স্কুলের মাঠসহ বিদ্যালয়ের পরিবেশ সুন্দর করে তুলেছে।
করোনাকালীন ছুটির পর এই নতুন পরিবেশে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আগের চেয়ে আরও বেশি মনোযোগী হয়ে উঠবে পড়ালেখার প্রতি এবং শিক্ষার্থী উপস্থিতি বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন স্থানীয় অভিভাবকরা।
বিষয়টির বিকৃত উপস্থাপনায় সমালোচনা শুরু হলে স্কুলটি পরিদর্শন করেছেন মূল ধারার গণমাধ্যমের পেশাদার সাংবাদিকেরা। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা হয় সাংবাদিকদের। কিন্তু তাদের মাঝে স্কুলের সেই রঙ নিয়ে কোনো ক্ষোভ নেই। তাদের কথায় প্রথমে এই রঙ মাঝে লাল ও দুই পাশে সবুজ থাকলেও তখন কাজটি ছিল চলমান। সেই চলমান কাজটির ছবি ধারন করে কিছু লোক তা ভিন্নভাবে উপস্থাপন করে ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মিডিয়ার সামনে নিয়ে আসেন।
এ ব্যাপারে চিত্রশিল্পী সাদ্দাম মুঠোফোনে বলেন, আমি প্রায়ই স্কুলের চিত্র বা রঙের কাজ করে থাকি। প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমাকেই সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলার দায়িত্ব দিয়ে থাকেন। এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাদিরা মাহমুদ আমাকে হলুদ লাল রঙের কথা বললেও আমি নিজ থেকে সিঁড়িতে লাল সবুজের লম্বা দাগ আস্তর আঁকি এবং তা শুকানোর জন্য চা পান করতে যাই। ঠিক ওই সময় স্কুলের জায়গা দখল করাকে কেন্দ্র করে কিছু লোক সেখানে উপস্থিত হয়ে ছবি তোলেন। পরে বিষয়টিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেন।
স্কুল কমিটির সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম জাকির বলেন, ব্যাপারটি একেবারে অনাকাঙ্ক্ষিত। এখানে প্রধান শিক্ষক এই লাল সবুজ রঙের জন্য কোনভাবেই দায়ী নন। প্রধান শিক্ষক ব্যাপারটি আমাকেও জানিয়েছেন এবং আমি নিজে তার সঙ্গে থেকে চিত্রশিল্পী দ্বারা রঙ পরিবর্তন করে নিই। স্থানীয় লোকের এ ব্যাপারে কোনো ক্ষোভ নেই বা ছিলোও না।
স্থানীয় প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মালিবাড়ী ক্লাষ্টারের ১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। গত মে মাসে পিইডিপি-৩ ও স্লিপ প্রকল্পের দুই লাখ ৪৪ হাজার টাকার বিভিন্ন সংস্কার কাজ করার জন্য সাতটি স্কুলকে এই বরাদ্দ দেয়া হয়। বাকি স্কুলগুলোকেও পর্যায়ক্রমে তা দেয়া হবে। এরই অংশ হিসেবে ওই রঙের কাজ করান প্রধান শিক্ষক। এতে বিদ্যালয় ভবন নতুনভাবে রঙ ও মেরামত করার পাশাপাশি ভবনের বিভিন্ন অংশে চিত্র ও বর্ণ সৃজনসহ সিঁড়িতে আল্পনার কাজ করা হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিক নাদিরা মাহমুদ সময় সংবাদকে বলেন, যে ঘটনাটি ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। সিঁড়ির রঙ পূর্ব নির্ধারিত লাল-হলুদ থাকলেও আমি স্কুল সংক্রান্ত কাজে ও স্কুলের জায়গা সংক্রান্ত ব্যাপারে অফিসে থাকার কারণে সেভাবে রঙের কাজটি তদারকি করতে পারিনি। চিত্রশিল্পীকে বলা সত্ত্বেও কেন তিনি হলুদের পরিবর্তে সবুজ রঙ ব্যবহার করলেন তা আমি বুঝতে পারলাম না। তবে ঘটনাটির জন্য আমাকে আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কৈফিয়ত তলব করেছেন এবং সবুজ রঙ তুলে নির্ধারিত হলুদ রঙ ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
আমাদেরবাংরাদেশ.কম/রিফাত
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রাজু
হেড অফিস : প্রস্তাবিত (১ম তলা),৯৮, নয়াপল্টন,ঢাকা-১০০০
বানিজ্যিক এলাকা: বাইপাইল আশুলিয়া,সাভার,ঢাকা।
মফস্বল কার্যালয়: মেইন রোড (২য় তলা),কেশবপুর,যশোর।
নিউজ-মেইল: dailyamaderbd24@gmail.com
নিউজ রুমঃ রাজু:- ০১৭১১-১৩৯৪২০
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম