
কক্সবাজার সংবাদদাতা।। কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়ার দক্ষিণ শিলখালীর মৃত আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুল খালেক(৩০) প্রকাশ হাশেমীর বিরুদ্ধে মানবপাচারের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সুত্রে জানা গেছে,সাগর পথে মালেশিয়ায় মানবপাচার করে আব্দুল খালেক খলিবার একটি পাচারকারী সিন্ডিকেট।রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে নারী পুরুষ সংগ্রহ করে অধৈধ ভাবে সাগর পথে পাচার করে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা।স্হানীয়দের বৈধ পথে মালেশিয়া নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে, প্রথম পাসপোর্ট ও মোটা অংকের টাকা নিয়ে সাগর পথে অবৈধভাবে যেতে জোর করে বলেও তার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন,গত ডিসেম্বরে মালয়েশিয়া পাঠানোর কথা বলে পঞ্চাশ হাজার টাকা নেয় খালেক খলিবা পরে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে রাজধানীর মিরপুরে একটি আবাসিক হোটেলে দীর্ঘ বিশ দিন যাবৎ কৌশলে আটকে রেখে অবশেষে তার পাসপোর্ট জব্দ করে ফেরত নিয়ে আসে এ মানব পাচারকারী আব্দুল খালেক ওরফে হাশেমী।খালেক খলিবা ঢাকার একটি দালালের সাথে সিন্ডিকেট করে অহরহ রোহিঙ্গাদেরকে মালেশিয়ায় পাচার করছে করছে বলে একাধিক সুত্রে প্রকাশ।
ভুক্তভোগী একজন বলেন,কুতুপালং ক্যাম্পের আব্দুল্লাহসহ একাধিক রোহিঙ্গাদের ঢাকা নিয়ে দালাল মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্র ও পাসপোর্ট তৈরি করে দিয়ে মালেশিয়া পাঠানোর জন্য মিরপুরের একই হোটেলে বিশ দিন যাবৎ রেখে অবশেষে তাকেও ফেরত নিয়ে আসে এ দালাল চক্র।
অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, স্থানীয় চকিদার পাড়া মোশাররফ আলীর ছেলে মালেশিয়া আবছার উদ্দিন (২৫) কে সাগর পথে মালয়েশিয়া পাঠানোর জন্য এক লক্ষ আশি হাজার টাকা দাবী করে এই মানব পাচারকারী।দক্ষিণ শিলখালী এলাকার আমান উল্লাহ প্রকাশ আমান খলিবা (২৭) পিতা-সোনালী নামের এক যুবককে মালেশিয়া পাঠানোর কথা বলে পাসপোর্ট জব্দ করে রাখে এ মানব পাচারকারী আব্দুল খালেক প্রকাশ হাশেমী ।
এবিষয়ে জানতে আব্দুল খালেক প্রকাশ হাশেমীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে সংযোগ না পাওয়াই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
স্থানীয়রা জানান,খালেক একজন পেশাদার মানবপাচারকারী সে দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে এবং তাকে আইনের আওতায় আনতে স্থানীয়রা জোর দাবী জানিয়েছেন।