ষ্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশের জন্য শোকাবহ মাস আগস্ট। স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের কিংবদন্তী নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যা করা হয়েছিল। স্বাধীন বাঙালী জাতির জনককে স্মরণ মানেই যেন শুধু তাঁর দীর্ঘ ত্যাগী রাজনৈতিক জীবন, সংগ্রাম, নেতৃত্ব আর দেশ গড়ার স্বপ্নের আলোচনা। সেসবের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর সাহচর্য পাওয়া সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষেরা এবার বৈশাখী টেলিভিশনকে ব্যক্তি শেখ মুজিব নিয়েও তাদের স্মৃতির কথা বলেছেন। ব্যক্তি ও রাজনীতিক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে সাক্ষাৎকার ভিত্তিক ধারাবহিক আয়োজনে কূটনৈতিক অঙ্গনের ক’জন ব্যক্তিত্বের স্মৃতি কথা।
স্বাধীনের পরে দেশের কূটনীতি তো বটেই, বাংলাদেশ স্বাধীন করতে নিজের দীর্ঘ রাজনীতিতেও অজানা গোপন কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। তখন বিদেশে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন দেশের পরিচয়। সাবেক কূটনীতিক এনাম আহমেদ চৌধুরী ও ওয়ালিউর রহমান জানালেন, একাত্তরে রিফিউজি হয়ে যখন জার্মানিতে বাংলাদেশের পক্ষে কাজ করতাম অন্য দেশে যাওয়ার সময় আমাদের কার্ড দেখে বলতো তোমরা শেখ মুজিবের দেশের লোক, তোমাদের কোন ভিসা লাগবে না। দেশ স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্যই ছিল অন্যান্য দেশের সাথে সম্পর্ক বিল্ডআপ করা আর বাংলাদেশের জন্য স্বীকৃতি আদায় করা।
বঙ্গবন্ধুর অনেক রাজনৈতিক কূটনৈতিক চাল অনেকের কাছেই আজও এক বিস্ময়কর গল্পের মতো। যা তাঁর অকুতোভয় ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তোলে। সাবেক কূটনীতিক ওয়ালিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমি যদি পালিয়ে যেতাম আর পাকিস্তানিরা আমাকে না পেত তাহলে গণহত্যার পরিমান আরও বেশি হত।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে পাকিস্তানের এক ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণকে বলিষ্ঠ কূটনৈতিক জবাব দিয়ে পরাস্ত করতে দেখেছেন সে সময়ে কূটনৈতিক জগতে তাঁর কাছের মানুষেরা। সাবেক কূটনীতিক এনাম আহমেদ চৌধুরী ও ওয়ালিউর রহমান জানালেন, বঙ্গবন্ধু বলেন বাংলাদেশ যেমন স্বাধীন স্বার্বভৌম আছে তেমনই থাকবে। কূটনৈতিকভাবে দক্ষ না হলে সেই অবস্থায় নাকচ করা সম্ভব ছিল না।
সাবেক কূটনীতিক এনাম আহমেদ চৌধুরী ও ওয়ালিউর রহমান বলেন, যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে হাজারো সংকট আর টানাপোড়েনের ভেতর ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সদস্যপদ অর্জন, বঙ্গবন্ধুর অনন্য কূটনৈতিক সাফল্য। তাঁর ঘনিষ্ঠ কূটনৈতিক ব্যক্তিত্বদের কাছে সেটা চির অমলিন স্মৃতি।
বিশ্বমানের নেতা হওয়ায় বঙ্গবন্ধুর বিশেষ সম্মান সমাদর ছিল আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে। তাঁকে হত্যার প্রতিবাদে সরব হয়েছিল শত্র“ রাষ্ট্র পাকিস্তান ছাড়া সব দেশ।
সাবেক কূটনীতিক এনাম আহমেদ চৌধুরী ও ওয়ালিউর রহমান জানালেন, শুধু পাকিস্তান ছাড়া সব দেশ কনডেমন করেছিল এমনকি যেই যুক্তরাষ্ট্র একাত্তরে পাকিস্তানের সাপোর্টে ছিল তারাও। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের রাষ্ট্রদূত করে পাঠালেও চীন ও মুসলিম উম্মাহর দেশ ছাড়া কেউ তাদের গ্রহণ করেনি।
আবা/রিফাত
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রাজু
হেড অফিস : প্রস্তাবিত (১ম তলা),৯৮, নয়াপল্টন,ঢাকা-১০০০
বানিজ্যিক এলাকা: বাইপাইল আশুলিয়া,সাভার,ঢাকা।
মফস্বল কার্যালয়: মেইন রোড (২য় তলা),কেশবপুর,যশোর।
নিউজ-মেইল: dailyamaderbd24@gmail.com
নিউজ রুমঃ রাজু:- ০১৭১১-১৩৯৪২০
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম