সাভারের চাপাইন সিআরপি মেলায় বন্ধুদের সাথে বেড়াতে এসে প্রাণ দিতে হলো অষ্টম শ্রেণির ছাত্র সোহাগ হোসেন(১৬)।
প্রান্ত নবম শ্রেণিরছাত্র ও মিঠ অষ্টম শ্রেণির ছাত্র তারা তিনজন একই এলাকায় বসবাস করতেন।
সাভারে গত ১মার্চ সন্ধা ৭ ঘটিকার সময় সিআরপি মেলায় ঘুরতে আসে সোহাগ ও তার স্কুল বন্ধু প্রান্ত ও মিঠু। সোহাগ ও তার দুইবন্ধু সাভারের চাপাইন এলাকায় বসবাস করে বলে জানান পুলিশ।
নিহত সোহাগ এর সাথে মিঠু ও প্রান্তের সিনিয়ার জুনিয়ার নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে দ্রন্দ চলে আসছিলো বলে জানান সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক সুজন কুমার বিস্বাস।
সাভার মডেল থানার হত্যা মামলার তদন্তকারী উপপরিদর্শক সুজন কুমার বিস্বাস বলেন গতকাল ২মার্চ আদালতে প্রান্ত ও মিঠু দুইজন আসামী ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন।
জবানবন্দিতে প্রান্ত স্বীকার করে গত ১ মার্চ সন্ধা আনুমানিক ৭ঘটিকার সময় সিআরপি মেলায় মিঠু ও প্রান্ত সোহাগের উপর হামলার পরিকল্পনা পৃর্বেই করে ছিল। সেই পরিপরিকল্পনা অনুযায়ী একটি ধারালো ছুরি সঙ্গেই নিয়ে আসেন প্রান্ত।
সন্ধার দিকে মিঠু ও প্রান্ত নিহত সোহাগের সাথে কথাকাটির এক পর্যায়ে প্রান্ত নিজেই ধারালো অস্ত্র দিয়ে সোহাগের পিঠে আঘাত করে পালিয়ে যায়।
সোহাগকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।
গত ১ মার্চ সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এএফএম সায়েদ ও কয়েকজন পুলিশ কর্মকর্তা রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার সময় প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে সাভার হেমায়েতপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে হত্যার সাথে জড়িত মিঠু ও প্রান্ত কে গ্রেপ্তার করে সাভার মডেল থানায় নিয়ে আসেন। তিনি আরও বলেন সাভার মডেল থানা পুলিশ হত্যা ঘটনার ২ ঘন্টার মধ্যেই আসামীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
সাভার মডেল থানায় গত ১ মার্চ রাতে সোহাগের পিতা সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন দুইজনকে আসামী করে।