ষ্টাফ রিপোর্টার:
মানবপাচারে জড়িত সিলেটের অবৈধ ট্র্যাভেল এজেন্সীর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের অভিযানে ৫টি ট্র্যাভেল এজেন্সীকে সবমিলিয়ে এক লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযানকালে নগরীর বন্দরবাজারের ইদ্রিস ভবন, ওরিয়েন্টাল, কালিঘাটের নজির চেম্বারসহ বিভিন্ন মার্কেটে অভিযান চালানো হয়। এ সময় ট্রাভেলস এজেন্সি পরিচালনার অনুমোদন দেখাতে না পারায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে তা আদায় করা হয়।
সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট(এডিএম) মো: নাসির উল্যাহ খান জানান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: আশরাফুল হকের নেতৃত্বে মঙ্গলবার নগরীতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে জরিমানার পাশাপাশি ভুয়া ট্র্যাভেল এজেন্সীর মালিকদের সতর্ক করা হয়। এর আগে সোমবার জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে গঠিত ৫টি মোবাইল টিম ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে মানবপাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে ৯জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ডে দন্ডিত করে। ওই দিন বৈধ কাগজপত্র না থাকাসহ বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে ২৩টি ট্রাভেল এজেন্সিকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়েছেন এডিএম।
এসোসিয়েশন অব ট্রাভেলস এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)- সিলেট জোনের সভাপতি আব্দুল জব্বার জলিল জানান, গতকালের অভিযানেও তিনি অংশ নেন। মানব পাচারে জড়িতদের ধরতে এ অভিযান অব্যাহত রাখা জরুরী বলে তিনি মন্তব্য করেন।
প্রসঙ্গত, ৯ মে লিবিয়া থেকে ইটালি যেতে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে সিলেটের ৬ তরুণ নিহত , ৫ জন নিখোঁজ এবং একজনকে জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় ঘটনায় শুধু সিলেট নয় পুরো দেশজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। সেই সাথে নড়েচড়ে বসে প্রশাসনও। মানবপাচারের বিষয়টি সামনে চলে আসে। রাজা ম্যানশন মার্কেটের ইয়াহিয়া ওভারসিজ এবং সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি এ মানবপাচারের সাথে জড়িত বলে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম