আহসান টিটু,বাগেরহাট : সুন্দরবন থেকে বিষ দিয়ে শিকার করে পাচারের সময় একটি মোটরসাইকেলসহ ৮০ কেজি গলদা ও হরিণা চিংড়ি জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে গোপান সংবাদের ভিত্তিতে বাগেরহাটের শরণখোলার ইউএনও সরদার মোস্তফা শাহীন উপজেলা সদররের পাঁচরাস্তা মোড় থেকে দুটি বস্তা ভর্তি চিংড়িগুলো জব্দ করেন। প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের জব্দকৃত চিংড়ি দুপুরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহীন জানান, বিষ দিয়ে শিকার করা ওই চিংড়িগুলো জাহিদুল মৃধা (৩০) নামের ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলেচালক ভোর ৪টার দিকে পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে নিয়ে যাচ্ছিল। চালক জাহিদুলকে চিংড়ির মালিককে হাজির করার শর্তে ছেড়ে দিয়ে গাড়িটি জব্দ করে রাখা হয়েছে। মূল অপরাধীকে হাজির করতে না পারলে চালকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযানে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিনয় কুমার রায় উপস্থিত ছিলেন।
মোটরসাইকেল চালক জাহিদুল মৃধা জানান, সাউথখালী ইউনিয়নের উত্তর তাফালবাড়ি গ্রামের বেল্লাল মোল্লা তার মোটরসাইকেল ভাড়া করে চিংড়িগুলো ইন্দুরকানী মোকামে পৌঁছে দিতে বলেন। মাছগুলো তার ঘেরের বলে জানান। বিষ দিয়ে ধরা- জানা ছিল না তার। সুন্দরবন সহ-ব্যবস্থাপনা কমিটি ও কমিউনিটি পেট্রলিং গ্রুপ সূত্রে জানা গেছে, মৎস্য ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর হাওলাদারের দাদন দেওয়া জেলে বনসংলগ্ন সোনাতলা গ্রামের রহমান হাওলাদারের ছেলে নান্না হওলাদার ও শহিদুল হাওলাদার, আলম তালুকদারের ছেলে রুবেল, ছোমেদ মুন্সির ছেলে সুমন ও মিজান, আ. হক মাতুব্বরের ছেলে খলিল ও ইব্রাহিম, সোহরাব মাতুব্বরের ছেলে মিজান ও ইলিয়াস, হজরত খানের ছেলে আমিনুর খান সুন্দরবনে এই মাছ শিকারের সাঙ্গে জড়িত।
মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞার মধ্যে এই চক্রটি সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা গোপনে বনে প্রবেশ করে বিষ দিয়ে মাছ শিকার করে রাতের অন্ধকারে পাচার করছে। এ ব্যাপারে বন বিভাগ ও প্রশাসনের নজরদারি বৃদ্ধি ও জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া দাবি জানায় সূত্রটি। পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জ কর্মকর্তা (সহকারী বন সংরক্ষক) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, এ ব্যাপারে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। চিংড়িগুলো সুন্দরবন থেকে শিকার করা হলে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম