মইনুল হোসেন।। শেরপুর সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের বাদাপাড়া গ্রামের একমাত্র পাকুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়টি দীর্ঘ প্রায় ২ যুগ ধরে একই কমিটি দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে বলে লিখিত অভিযোগ উঠেছে।
২৫ মে মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যালয়ের জমিদাতা নবী হোসেন জেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ওই অভিযোগ দায়ের করেন।
জমিদাতা নবী হোসেন লিখিত অভিযোগে উল্লেখ্য করে বলেন, পাকুড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়টি ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এখন অবদি দীর্ঘ প্রায় ২ যুগ যাবত অনিয়মের মাধ্যমে বিদ্যালয় পরিচালিত হচ্ছে। একই ম্যানেজিং কমিটি দ্বারা বিদ্যালয় পরিচালনা করায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নওশাদ আলী ও ম্যানেজিক কমিটির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। পেশী শক্তির দাপটে বিদ্যালয়ের অনিয়মকে নিয়মে পরিনীত করেন। শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বানিজ্য করে হাতিয়ে নেন লক্ষ-লক্ষ টাকা।
এদিকে, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পাকুড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব হায়দার আলীর প্রচেষ্টায় ওই বিদ্যালয়টি প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করা হয়।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নওশাদ আলী বলেন, এ অভিযোগে বিদ্যালয়ের কোনো ক্ষতি সাধিত হবে না।
এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা অফিসার রেজুয়ান রহমান বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ২ বছর পর পর অভিভাবকদের মাধ্যমে নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নতুন কমিটি গঠন করা। কিন্তু ২৩ বছর কিভাবে একই কমিটি বিদ্যালয় পরিচালনা করছে এই বিষয়টি বোর্ডের ব্যাপার।