আমাদের বাংলাদেশ ডেস্ক: বন্যায় জামালপুরে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কলেজ পর্যায়ের ৩৯৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বিনষ্ট হয়ে ব্যহত হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। আগামী পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে সংশয়। তবে বন্যা পরবর্তি সময়ে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেরামত ও ছাত্রছাত্রী অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে ক্ষতি পুশিয়ে নেয়া হবে জানিয়েছে প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

জামালপুরে টানা প্রায় এক সপ্তাহের বন্যায় জেলার ৭টি উপজেলায় ৩৯৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। বন্যার পানি প্রবেশ করায় সাত উপজেলায় মোট ২৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬১টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২৯টি মাদরাসা এবং ৫টি কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বন্যার সময় পানি উঠে যাওয়ায় আগামী জেএসসি ও পিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েও শংকায় পড়েছে শিক্ষার্থীরা।

বন্যার কারণে ক্লাস না হওয়া আর সামনে পরীক্ষার কথা মাথায় রেখে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ক্লাস নেয়ার পাশাপাশি বিদ্যালয় সংস্কারের দাবি তুলেছেন অভিবাবকরা। এদিকে, বন্যার কারণে শিক্ষার্থীদের পাঠদান ব্যাহত হওয়ার কথা স্বীকার করে শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনার কথা জানালেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক। সব মিলিয়ে বন্যা কবলিত এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত সংস্কার করে পড়ালেখার পরিবেশ নিশ্চিত করা হবে, এমনই প্রত্যাশা শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের।