‘ওয়াসার পানি শতভাগ সুপেয়’- সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান দাবি করলেও এখন ওয়াসার পক্ষ থেকেই বলা হচ্ছে রাজধানীর ৫৭ এলাকায় তাদের সরবরাহকৃত পানি দুষিত।
আজ (১৬ মে) হাইকোর্টে দাখিল করা এক প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াটার সাপ্লাই অ্যান্ড সুয়ারেজ অথরিটি (ওয়াসা) এ কথা জানায়।
ওয়াসার ১০টি জোনে বিভক্ত ৫৭ এলাকাগুলো হলো: যাত্রাবাড়ী, বাসাবো, মুগদা, রাজারবাগ, কুসুমবাগ, জুরাইন, মানিকনগর, মান্ডা, ধোলাইপাড়, মাতুয়াইল, ভাগলপুর, লালবাগ, বকশীবাজার, শহীদনগর, জিগাতলা, ধানমন্ডি, শুক্রাবাদ, কলাবাগান, ভুতের গলি, মোহাম্মদপুর, শ্যাওড়াপাড়া, পীরেরবাগ, মনিপুর, পাইকপাড়া, কাজীপাড়া, মিরপুর, মহাখালী, তেজগাঁও, সিদ্ধেশ্বরী, শাহজাহানপুর এবং খিলগাঁও।
এই তালিকায় আরও রয়েছে: মগবাজার, নয়াটোলা, রামপুরা, মালিবাগ, পরীবাগ, কদমতলী, দনিয়া, শ্যামপুর, রসুলপুর, মেরাজনগর, পাটেরবাগ, শনিরআখড়া, কোনাপাড়া, মুসলিমনগর, বাড্ডা, আফতাবনগর, বসুন্ধরা, ভাটারা, উত্তরা, খিলক্ষেত, ফায়েদাবাদ, মোল্লারটেক, রানাগোলা, কাফরুল, কচুক্ষেত এবং পল্লবী।
এসব এলাকার অধিবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ওয়াসা এই প্রতিবেদন তৈরি করেছে।
প্রতিবেদনটি গ্রহণ করার পর হাইকোর্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর সবিতা রেজওয়ানা রহমানকে আগামী ২১ মে আদালতে উপস্থিত হতে বলা হয়েছে। কতো সহজ উপায়ে ওয়াসার পানি পরীক্ষা করা যায় সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হিসেবে সেদিন তার মত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং বিচারপতি মো. খায়রুল আলম আগামী ২১ মে ওয়াসার পানি নিয়ে পরবর্তী আদেশ দিবেন।
এর আগে, অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের কার্যালয়ে জমা দেওয়া স্থানীয় সরকার ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের (এলজিআরডি) এক প্রতিবেদনে বলা হয় রাজধানী ঢাকার ১১ জোনের ওয়াসার পানির ১,০৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করতে ৭৫ লাখ ৬১ হাজার টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছে।