আবু রায়হান, জয়পুরহাট।। ২০১৬ সালের ১৪ মার্চ নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে অরাজনৈতিক সংগঠন হেযবুত তওহীদের দুই সদস্যকে জবাই করে হত্যা, বাড়িঘর লুটপাট, অগ্নিসংযোগে জরিত আসামিদের গ্রেফতার এবং উক্ত স্থানে গৃহিত উন্নয়ন প্রকল্পের নিরাপত্তা ও জানমালের হেফাজত প্রসঙ্গে ১১ দফা দাবি জানিয়ে আক্কেলপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে জয়পুরহাট জেলা হেযবুত তওহীদ।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশেক মাহমুদ বলেন, একটি ধর্মব্যবসায়ী উ্ববাদী সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হেযবুত তওহীদের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এ আন্দোলনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও মিথ্যাচারে অবতীর্ণ হয়েছে এবং আমাদের উপর বারবার হামলা চালিয়েছে। গত ২৬ বছরে দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা প্রায় চারশতবার হেযবুত তওহীদের সদস্যদের উপর হামলা চালিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ পৈশাচিক হামলাটি হয় ২০১৬ সালের ১৪ই মার্চ। সেদিন হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমামের বাড়িতে নির্মাণাধীন মসজিদকে গির্জা বলে গুজব রটিয়ে দিয়ে, মিথ্যা হ্যান্ডবিল বিলি করে ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণি ধমীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে । তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় গ্রামের কয়েকটি পরিবার যারা পূর্ব থেকেই পারিবারিকভাবে শত্রুতা করে আসছিল । এভাবে দিনভর চলে হামলা, জ্বালাও পোড়াও, রক্তপাত ও হত্যাকাণড। দুজন সদস্যকে প্রচণ্ড প্রহারের পর তাদের হাত পায়ের রগ কেটে দিয়ে তাদের চোখ উপড়ে নেয় । তারপর গরু জবাই করা ছুরি দিয়ে জবাই করা হয়। পেট্রোল ঢেলে তাদের দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পৈশাচিক উল্লাসে স্থানীয় পুলিশের উপস্থিতিতেই তারা এই ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডটি ঘটায় এবং আরো ১১৪ জন সদস্যকেও নির্মমভাবে হত্যা করতে উদ্যত হয় । এমন অবস্থায় উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়, যদিও ঘটনার আগে থেকেই সেই স্থানীয় স্বার্থান্বেষী কুচক্রী মহল ও ধর্মব্যবসায়ী শ্রেণির ষড়যন্ত্র সম্পর্কে প্রশাসনের ছারে ছারে ঘুরে প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছিল । আমরা মনে করি, কর্তৃপক্ষ যথাসময়ে উদ্যোগ নিলে এই মর্মান্তিক নজিরবিহীন ঘটনাটি ঘটত না। এই ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে এই মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়। বহু আসামী আইনের আওতায় আসেনি,যারা এসেছে তারা রাজনৈতিক হয়রানীর ধুয়া তুলে সহজেই জামিনে বেরিয়ে এসে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো অগ্রগতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। কাজেই আবারও হামলার আশঙ্কা থেকে আমরা মুক্ত হতে পারছি না।
তিনি আরও বলেন, এদিকে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে যেখানে উদ্রবাদী সন্ত্রাসীরা তাগুবলীলা চালিয়েছিল, সেই ধ্বংসস্তূপের উপরেই বর্তমানে আমরা নির্মাণ করেছি “চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্প ।” আমরা হতোদ্যম হইনি, নিরাশ হইনি । আমরা মনে করি অপসংক্কৃতি ও মাদকের হাত থেকে তরুণ যুব সমাজকে বাঁচাতে প্রয়োজন খেলাধুলা ও সুস্থ বিনোদন। এ লক্ষ্যে দেশজুড়ে আমরা আয়োজন করছি ফুটবল, কাবাডি, ব্যাডমিন্টন সহ বিভিন্ন জনপ্রিয় খেলার প্রতিযোগিতা এবং সুস্থ ধারার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আমরা কী চাই, তারা কী চায়? সুতরাং, এটা প্রমাণিত হয়েছে যে ফতোয়াসন্ত্রাসীরা চায় ধ্বংস, আর আমরা চাই নির্মাণ । তারা চায় অন্ধতৃ, আমরা
চাই শিক্ষা। তারা চায় বিভক্তি, আমরা চাই সম্প্রীতি । তারা চায় শক্রতা, আমরা চাই একতা । তারা চায় উন্মাদনা, আমরা চাই শান্তি। তাদের আছে প্রতিহিংসা, আমাদের আছে ক্ষমা। হেযবুত তওহীদের এই জাতি-গঠনমূলক ও
উন্নয়নমুখী প্রত্যাশীগুলো যেন পূর্ণ না হয় সেজন্যই বারবার ধর্মব্যবসায়ীরা হেযবুত তওহীদের পথরোধ করে দীড়িয়েছে, বারবার ধ্বংসসাধন করেছে, রক্তপাত ঘটিয়েছে। সম্প্রতি অত্যন্ত উদ্বেগের সাথে আমরা আবারও লক্ষ করছি, ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠী ও স্থানীয় ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রী মহল যাঁরা সমাজের কল্যাণ চায় না, অগ্রগতি উন্নতি চায় না, সমৃদ্ধি চায় না, তারা আবারও হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, মিথ্যাচার ও হামলার উসকানি দেওয়া আরম্ত করেছে । বিশেষ করে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে বিরাজমান
শান্তিময় পরিস্থিতিকে অশান্ত করে তোলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারা । এই অপপ্রচারকারী ও হামলার চক্রান্তকারী কুচক্রী মহলকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখী করা অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে । এদের বিরুদ্ধে এখনই আইনী শক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে এরা যে কোনো ধরনের তাণুব সৃষ্টি করতে পারে । সেক্ষেত্রে কেবল হেযবুত
তওহীদই ক্ষতিষ্স্ত হবে না, সেই সাথে ক্ষতিথস্ত হবে সমাজ, ক্ষতিথস্ত হবে দেশ। মানুষ আর ন্যায়সঙ্গত উন্নয়নমূলক কাজের উৎসাহ পাবে না। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম সাংবিধানিক রাষ্ট্র। এখানে আইন-আদালত রয়েছে, সংবিধান রয়েছে। সংবিধান আমাদেরকে কথা বলার অধিকার দিয়েছে, ধর্মীয় মত প্রকাশের অধিকার দিয়েছে,
সংগঠন করার অধিকার দিয়েছে । আমি যদি কোনো অন্যায় না করি, জাতির কল্যাণে কাজ করি তাহলে কেউ আমার অধিকারে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে আমাদের অধিকার ক্ষুন্ন করা হচ্ছে। আমাদের
বিরুদ্ধে এখনও ষড়যন্ত্র চলছে। এমতাবস্থায় আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের সামনে আমরা উদ্বেগের সঙ্গে প্রকাশ করছি যে,
ষড়যন্ত্রকারীরা যেহেতু এখনও সক্রীয় রয়েছে। কাজেই মসজিদ নির্মাণ করতে আসা আমাদের নির্দোষ নিরাপরাধ করা হয় তাহলে তাদের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাবে এবং অত্র এলাকায় গৃহীত উন্নয়ন কর্মসূচি আরও বেগবান হয়ে
উঠবে।
এই লক্ষ্যে আমাদের নিয়লিখিত প্রস্তাবনা আমরা পেশ করছি-
আজকের সংবাদ সম্মেলনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি হেযবুত তওহীদের পক্ষ থেকে যে দাবিগুলো পেশ করা হয় সেগুলো নিম্নরূপ:
১. ২০১৬ সালের ১৪ই মার্চে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাটের পোরকরা গ্রামে মিথ্যা গুজব রটিয়ে হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও প্রকাশ্য দিবালোকে দুইজনকে জবাই করে হত্যার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে যারা জড়িত ছিল ও পরোক্ষভাবে যারা ইন্ধন যুগিয়েছিল তাদেরকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।
২. বিচার প্রক্রিয়ায় দীর্ঘসূত্রিতা হলে সেটাকে বিচারহীনতারই নামান্তর মনে করা হয়। কাজেই বিচারের নামে দীর্ঘসূত্রিতা যেন না হয় সে ব্যাপারে আমরা সরকারের পদক্ষেপ আশা করি।
৩. হামলাকারীদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যাদের নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি, গ্রেফতারও করা হয়নি, কিন্তু এখন তাদের নাম, ঠিকানা ও হামলায় জড়িত থাকার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য বেরিয়ে আসছে। এই হামলাকারীদেরকেও দ্রুত গ্রেফতার করে সম্পূরক অভিযোগপত্রের মাধ্যমে বা যথাযথ প্রক্রিয়ায় তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
৪. উগ্রবাদী সন্ত্রাসী ও ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠী আবারও মিথ্যা হ্যান্ডবিল রচনা করে বিভিন্ন মসজিদে, মাদ্রাসায়, রাস্তাঘাটে, দোকানে বিতরণ করছে এবং যেটা আমরা বলিনি, করিনি, যেটা আমাদের আকিদা নয়, বিশ্বাস নয়, সেগুলোকে আমাদের উপর আরোপ করছে। তারা চাচ্ছে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে। মিথ্যা হ্যান্ডবিল রটিয়ে এহেন অপপ্রচারের সাথে জড়িতদেরকে গ্রেফতার করে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
৫. ধর্মব্যবসায়ী ও উগ্রবাদী সন্ত্রাসীদের হামলায় ধ্বংসস্তুপে পরিণত হওয়া মাননীয় এমামের বসতবাড়িকে কেন্দ্র করে আমরা পুনরায় যেই উন্নয়ন প্রকল্প গড়ে তুলেছি, সেই উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে থাকা স্থাপনাগুলো যেমন- স্কুল, মসজিদ, মক্তব, গবাদি পশুর খামার, বিভিন্ন ধরনের শিল্প কারখানা, কুটির শিল্প ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে চাষীরহাট বাজারে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করতে হবে।
৬. মানুষের ধর্মবিশ্বাসকে হাইজ্যাক করে অতীতে কীভাবে জাতিবিনাশী ঘটনা ঘটানো হয়েছে, গুজব ছড়িয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে নির্দোষ মানুষের জান মালের ক্ষতি করা হয়েছে ও হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে তা গণমাধ্যমকর্মীদের অজানা নয়। এই গুজব সৃষ্টিকারী ও অপপ্রচারকারী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে গণমাধ্যমকর্মীদেরকে আরও সোচ্চার ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে।
৭. সারা দেশ থেকে আমাদের হাতে আসা তথ্যমতে, শুধু গত এক মাসেই দেশের অন্তত শতাধিক জায়গায় হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে ওয়াজ মাহফিলে বা জুমার খুতবায় বা অনলাইনে মিথ্যা ওয়াজ করা হয়েছে এবং আমাদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ধ্বংস করার হুমকি দেওয়া হয়েছে। কাজেই দেশজুড়ে হেযবুত তওহীদের সদস্যদের আবাসস্থল, কার্যালয়, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন প্রকল্প ইত্যাদির নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।
৮. যে সমস্ত তাত্ত্বিক গুরু বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ পদ-পদবী ব্যবহার করে ওয়াজের নামে হেযবুত তওহীদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে, গুজব রটাচ্ছে ও হামলার উসকানি দিচ্ছে, তাদেরকে শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের আপলোড করা বক্তব্যগুলো দেখে তাদের অন্ধ অনুসারীরা প্রভাবিত হয়ে বহু বেআইনী ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। যেমন জঙ্গিবাদী হামলা, ভাস্কর্য ভাঙচুর ইত্যাদি ঘটনার কথা স্মরণ করা যেতে পারে।
৯. দেশের আইনমান্যকারী নাগরিক হিসাবে আমাদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। তথাপি ধর্মব্যবসায়ী গোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ নেতৃত্বে বারবার আমাদের উপর হামলা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করছি যে, পুনরায় আমাদের বাড়িঘরে, উন্নয়ন প্রকল্পসমূহে হামলা চালানোর হুমকি প্রকাশ্যে প্রদান করা হচ্ছে। যদি আবারও তারা আক্রমণ করে, তাহলে প্রশাসনিক নিরাপত্তার পাশাপাশি কার্যবিধিতে উল্লেখিত আত্মরক্ষার ধারা মোতাবেক আত্মরক্ষা করার অধিকার আমাদের রয়েছে। আমাদের সেই আত্মরক্ষার অধিকার সুস্পষ্টভাবে বলবৎ করতে হবে।
১০. ধর্মব্যবসা, সাম্প্রদায়িকতা, অপরাজনীতি, মাদক, হুজুগ, গুজব, জঙ্গিবাদ ইত্যাদির বিরুদ্ধে সারাদেশে হেযবুত তওহীদ যে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে সেই অনুষ্ঠানগুলোর নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে।
১১. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে হেযবুত তওহীদের এমাম ও সদস্যদের ছবি এডিট ও বিকৃত করে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, মিথ্যা গুজব রটানো হচ্ছে, অস্থিতিশীল পরিস্থিতির ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে। যারা নামে-বেনামে বিভিন্ন আইডি খুলে এ ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অবস্থান শনাক্ত করে তাদেরকে দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে।
এ সময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, হেযবুত তওহীদের জয়পুরহাট জেলা সভাপতি হারুনুর রশিদ সরদার, সাধারণ সম্পাদক টিটু আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক মামুনুর রশীদ, আক্কেলপুর উপজেলা সভাপতি আল মাসুদ রুবেল, পাঁচবিবি উপজেলা সভাপতি আসাদুজ্জামান মুকুল সহ হেযবুত তওহীদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
আমাদেরবাংলাদেশ.কম/রাফি
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রাজু
হেড অফিস : প্রস্তাবিত (১ম তলা),৯৮, নয়াপল্টন,ঢাকা-১০০০
বানিজ্যিক এলাকা: বাইপাইল আশুলিয়া,সাভার,ঢাকা।
মফস্বল কার্যালয়: মেইন রোড (২য় তলা),কেশবপুর,যশোর।
নিউজ-মেইল: dailyamaderbd24@gmail.com
নিউজ রুমঃ রাজু:- ০১৭১১-১৩৯৪২০
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম