নিজস্ব প্রতিবেদক।। কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের চট্টগ্রাম -কক্সবাজার মহাসড়কের ঈদগাঁও থানা ভবন ও ফকিরাবাজারের পাশে লাগোয়া সামাজিক বনায়নের গাছ ও পাহাড় কেটে প্রায় দু’একর জমি কাটাতারের ঘেরা দিয়ে বিশালাকার দৃষ্টিনন্দন ভবন তুলছেন ফিরোজ আহমদ নামে (স্থানীয় ভাবে থানার দালাল হিসেবে পরিচিত) একব্যক্তি।
ভবনের পাশে তৈরী হচ্ছে টিনের ছাউনি দেয়া ভাড়া বাসাও। ফকিরাবাজারে ‘সোনালী এন্টারপ্রাইজ’ নামে আলিশান অফিস করেই পুলিশ ও বৃহত্তর ঈদগাঁওর অপরাধ নিয়ন্ত্রকদের নিয়ে ফিরোজের সিন্ডিকেট ব্যবসা।
সম্প্রতি বনবিভাগ অনেক স্থাপনা উচ্ছেদ করলেও রহস্যজনক কারনে ফুলছড়ি রেঞ্জের নাপিতখালী বিটের সড়কের পাশে বনায়ন ও পাহাড় কেটে নির্মাণ করা ফিরোজের সুরম্য দালানটিতে হাত না পড়ার ‘রহস্য’ কি তা নিয়ে নানা গুঞ্জন চলছে।
অভিযোগ আছে, বনবিভাগ বরাবরই অসহায়দের ঘর গুলো উচ্ছেদ করে প্রভাবশালীদের স্থাপনা নির্মাণের সময় নীরব থাকে।তবে সম্প্রতি সমালোচনার মুখে বনবিভাগ দালানটির উচ্ছেদের জন্য মামলা দায়ের করেছে। এরপর এখনো পর্যন্ত উচ্ছেদের কোন উদ্যোগ নেয়নি সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে ফিরোজের লোকজন প্রচার করছেন, ২৫ লাখ টাকায় বনবিভাগসহ সকল সেক্টর ম্যানেজ করেই ফিরোজ অত্যাধুনিক বাড়িটি করছেন। এখানে সদ্য ঘোষিত ঈদগাঁও থানার অফিসার কিংবা আগ্রহী পুলিশ সদস্যদের ‘ফ্রি’তে রাখা হবে।
জানাগেছে,২০২০ সালের করোনাকাল হতে ভবন নির্মাণ কাজ এক বছর ধরে চললেও একটি বারের জন্যও বনবিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর কিংবা অন্যকোন সংস্থা সড়ক থেকে দৃশ্যমান এ নির্মাণ কাজে বাঁধা দিতে যায়নি। ফলে, ফিরোজের সিন্ডিকেটের প্রচার করা তথ্যই সঠিক ভেবে স্থানীয় বনপ্রেমী জনতা কিংবা পরিবেশবাদী সংগঠনও এর প্রতিবাদ করছে না।
কক্সবাজার উত্তর বনবিভাগের ফুলছড়ি রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, টাকা নিয়ে ম্যানেজ হওয়ার বিষয়টা সত্য নয়।উচ্ছেদ মামলা হয়েছে যে কোন সময় ভবনটি উচ্ছেদ করা হবে।
বনবিভাগ বলছে,জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করার পরও ম্যাজিট্রেট না দেওয়ায় উচ্ছেদ অভিযান করা সম্ভব হচ্ছে না।
বনবিভাগের অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ বলেন,যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আবেদন করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।যে আবেদনটি বনবিভাগ করেছে সেটি যথার্থ হয়নি।
এদিকে বনবিভাগের জমিতে ভবন তোলার কথা স্বীকার করে ফিরোজ আহমদ বলেন, এটি স্থানীয় মমতাজুল উলুম মাদ্রাসার নামে দখল ছিল। মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ৫ লাখ টাকায় দখল কিনেছি। পুরো বৃহত্তর ঈদগাঁও এলাকায় বনভূমি দখল করে অগণিত বাড়ি-ঘর করা হয়েছে। আমি করলে দোষ কোথায়?।
আমাদেরবাংলাদেশ.কম/রিফাত
সম্পাদকীয়,বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : ৩৮/১, আরামবাগ,মতিঝিল-ঢাকা-১০০০
যোগাযোগ: মোবাইল ০১৭১৩-৩৩২১৫৯- ০১৩১৮-৬৮০৩৮১
আমাদেরবাংলাদেশ. ডট কম