জাবি প্রতিনিধি।। জাহাঙ্গীনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান সংকট নিরসনে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও ভিসি পন্থী শিক্ষক উভয়পক্ষই মন্ত্রণালয়ে যে অভিযোগ দিয়েছেন তা নিরপেক্ষতার সাথে তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিষ্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। শনিবার দুপুরে সাভারের আক্রান এলাকায় ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির ষষ্ঠ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন মন্ত্রী।
এসময় উপমন্ত্রী বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছেন। সেই সাথে উপাচার্যের পক্ষ থেকেও আন্দোলনকারীদের বিপক্ষে মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ পত্র দিয়েছেন। এখন যেহেতু দুই পক্ষের অভিযোগ জমা পড়েছে তাই সরকার বিষয়টি বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষতার সাথে তদন্ত করবে।’তিনি আরো বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গুটি কয়েক শিক্ষক-শিক্ষার্থী আন্দোলন করছেন। আন্দোলনের নামে ঢাক-ঢোল ও কাসা পিটিয়ে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবন নষ্ট করছেন।
এসময় আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘পরিকল্পিত ভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে সরকারের কাছে তথ্য আছে। আন্দোলনকারী শিক্ষকরা কিভাবে নিজেরা বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সাথে সম্পৃক্ত আছেন ও কে কোন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছেন সে গুলোও আমরা জানি। আর সাধারণ শিক্ষার্থীরা যদি সেগুলো নিয়ে মাঠে নামে তখন পরিস্থিতি আরো ঘোলাটে হবে।’সমাবর্তনে ইউনিভার্সিটির চারটি অনুষদ থেকে সর্বোচ্চ সিজিপিএ প্রাপ্ত মোট নয়জন শিক্ষার্থীকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। তাদের মধ্যে চ্যান্সেলর গোল্ড মেডেল পান দু’জন নওশীন রহমান ও শ্রাবণী।
সমাবর্তনে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন বাংলাদেশে মার্কিন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত মিজ জোয়েন ওয়্যাগনার, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহিদুল্লাহ, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মোগল, ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. সহিদ আকতার হুসাইন ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক তাহমিনা আহমেদসহ আরো অনেকে।
প্রসঙ্গত, উচ্চ শিক্ষায় গুণগত মান ও নেতৃত্বে সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটিতে বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। চারটি অনুষদ এবং সেসব অনুষদের অধীনে ৯টি প্রোগ্রাম আছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী কৃতিত্বের সঙ্গে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন গ্রহণ করেছেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নামীদামী বিশ^বিদ্যালয়ের সঙ্গে এই বিশ^বিদ্যালয়ের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম ও ক্রেডিট ট্রান্সফারের ব্যবস্থা আছে।