তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ)সংবাদদাতা।। সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার চাঁনপুন, বড়ছড়া ও চাঁরাগাঁও সীমান্ত ভারত সীমান্ত থেকে নিয়ে আসা ও ( নো ম্যান্স ল্যান্ড) এলাকা থেকে চুনা ও ভোল্ডার পাথর সরবরাহ ও পাচার করা র্দীঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকার পর গত ২৬.০১.২০ইং রবিবার সকাল ৬টা থেকে আজ ২৮ জানুয়ারি মঙ্গলবার র্পযন্ত সরকারের লক্ষলক্ষ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ওইসব পাথর পাচাঁর শুরু করেছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চোরাচালানী সিন্ডিকেট চক্র।
এব্যাপারে গত ৩ দিন সীমান্তে সরজমিনে গিয়ে অনুসন্ধানে জানাযায়, জেলার তাহিরপুর উপজেলার চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া এলাকা, বড়ছড়া ও চাঁরাগাঁও শুল্কস্টেশন সংলগ্ন এলাকা দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে বিগত প্রায় ৪ মাস যাবৎ বিজিবির সোর্স পরিচয়ধারীরা ও স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চোরাচালানী সিন্ডিকেট চক্র অবৈধ ভাবে ভারতের ভিতর থেকে চুনা পাথর, সিঙ্গেল ও ভোল্ডার পাথর শত শত শ্রমিকদেরকে দিয়ে প্রথমে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্টে এনে মজুদ করে রাখে।
এঘটনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে ভারতের ভিতর থেক নিয়ে আসা ওই সব পাচাঁরকৃত পাথরগুলো দীর্ঘদিন সীমান্তেই আটক রাখে বিজিবি। সেই সাথে বিজিবির পক্ষ থেকে ভারত থেকে অবৈধ ভাবে পাথর পাচাঁর বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু তাহিরপুর সীমান্তের স্থানীয় চাঁনপুর, বড়ছড়া ও চারাগাও বিজিবি ক্যাম্পের কিছু অসাধু বিজিবি সদস্যকে ম্যানেজ করে ২৬ জানুয়ারি রবিবার সকাল ৬টা থেকে চাঁনপুর সীমান্তের নয়াছড়া এলাকা দিয়ে র্সোস পরিচয়ধারী চাঁনপুর গ্রামের আবু বাক্কার , চোরাচালানী আবুল কালাম, বিল্লাল হোসেন ও মুতালির, ট্যাকেরঘাট সীমান্তের রজণী লাইন, রড়ছড়া শুল্ক স্টেশন এলাকা দিয়ে বড়ছড়া গ্রামের বিজিবি র্সোস পরিচয়ধারী ইছাক মিয়ার নেতৃত্বে মৃত মুঞ্জুর শিয়ার ছেলে চোরাচালানী রফিকুল, মৃত ধন মিয়ার ছেলে আমির আলী ও সাক্কুল্লাহ মিয়ার ছেলে আলম মিয়া ও চারাগাঁও সীমান্তের শুল্কস্টেশন সংলগ্ন এলাকা দিয়েসোর্স পরিচয়ধারী মোফাজ্জল,দীপক ও শফিকুল ইসলাম ভৈরবগংদের নেতৃত্বে প্রায় ৩ শতাধিক ট্রলি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত-বাংলাদেশ জিরো পয়েন্ট(নো ম্যান্স ল্যান্ড) এলাকা থেকে পাচাঁরকৃত আটকে থাকা পাথরগুলো প্রকাশ্যে বিজিবি ক্যাম্পের সামনের রাস্তা দিয়েই ট্যাকেরঘট শহীদ মিনারে পিছনে ও চারাগাঁও হাওর পাড়ের নৌকা ঘাটে নিয়ে মজুদ করে কারছে চোরাচালানীরা। স্থানীয় সুশীল সমাজে প্রশ্ন উঠেছে সোর্স পরিচয়ধারী আবু বক্কর, কালাম, বিল্লাল, ইছাক, রফিক , আমির, মোফাজ্জল,দীপক ও শফিকুল ইসলাম ভৈরবির কুটির জোর কোথায়। এত কিছুর পরও বিজিবিই বা কেন তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাদের নিয়ন্ত্রণেই চোরাচালানীরা দীর্ঘদিন যাবত প্রতিরাতে কয়লা,মদ,গাজা ও ইয়াবা পাচাঁর করছে বলেও অভিযোগ এলাকাবাসী। এমনকি এসব অনিয়ম ও দূর্নীতির খবর পেয়ে সীমান্ত এলাকায় র্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে ইয়াবা,মদ,গাজা,বিড়ি ও অস্ত্রসহ অনেক চাঁদাবাজ ও চোরাচালানীকে গ্রেফতার করেছে। অন্যদিকে বিজিবি নামমাত্র অবৈধ মালামাল পরিত্যক্ত অবস্থায় আটক করলও কোন চোরাচালানী ও সোর্সদের কখনোই গ্রেফতার করেনা বিজিবি।
তবে সীমান্ত চোরাচালান ও চাঁদাবাজি নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করলে সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে ফাসিয়ে দেওয়ারও বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে থাকে চোরাচালানীদের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত আটক থাকা অবৈধ পাথরগুলো পাচাঁরের বিষয়ে জানতে চাঁরাগাঁও বিজিবি ক্যাম্পের সরকারী মোবাইল নাম্বারে কল করলে সুবেদার দিলোয়ার উত্তেজিত হয়ে বলেন,আমরা কি করব না করব সেটা আমাদের ব্যাপার তাতে সাংবাদিকদের কি,কিছু জানার থাকলে ক্যাম্পে এসে দেখা করুন।
চোরাচালানীদেরকে ১সপ্তাহের জন্য অবৈধভাবে পাথর পাচাঁরের অনুমতি দেওয়ার ব্যাপারে সুনামগঞ্জ ২৮ব্যাটালিয়নের বিজিবি অধিনায়ক মাকসুদুল আলমের বক্তব্য জানার জন্য তার সরকারী মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তা ব্যর্থ হয়।