রাজশাহীতে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টার ঘটনা ধামাচাপা দেয়া ও ধর্ষণচেষ্টাকারী যুবককে নামমাত্র ‘কানধরা’ সাজা দিয়ে ছেড়ে দেয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাগমারা উপজেলার যোগীপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর, আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বাগমারা থানা পুলিশ জানায়, উপজেলার যোগিপাড়া ইউনিয়নের বারুইহাটি গ্রামে গত ৩রা মে ষষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে তৌহিদ আলী (২৫) নামের এক যুবক। পরে, স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে আটক করে। এ নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেযারম্যান সালিস বসিয়ে ওই যুবককে কানধরে উঠবস করার সাজা দিয়ে ছেড়ে দেন।’
পরে, বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে এলে গত ৫ই মে ওই স্কুলছাত্রীর দাদা বাদি হয়ে বাগমারা থানায় মামলা করেন। এর একদিন পর পুলিশ তৌহিদকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান জানান, এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি তৌহিদ আলী। তবে, মামলার তদন্তে তাকে কানধরে উঠবস করার সাজা দিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল সহযোগিতা করেছেন। অথচ এই ঘটনাটি ছিলো আপস অযোগ্য অপরাধ। এ কারণে ইউপি চেয়ারম্যানকেও আসামি করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় তাকে গ্রপ্তারের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।’
এদিকে, চেয়ারম্যান মোস্তফা কামালের স্বজনদের দাবি তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের শিকার।