অনলাইন ডেস্ক।। বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছাড়লেন মাশরাফি বিন মুর্ত্তজা।
সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে এই ঘোষণা দেন বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে সফলতম এই অধিনায়ক।
আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল। তবে কোনো কিছুই পরিষ্কার ছিল না। কেননা মাশরাফি নিজে বলেননি, বোর্ডের পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করে বলা হয়নি এই সিরিজই হবে অধিনায়ক মাশরাফির শেষ। এবার মাশরাফির মুখ থেকেই এলো ঘোষণাটা। সংবাদ সম্মেলনে জানিয়ে দিলেন, ‘জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেটিই হবে আমার অধিনায়ক হিসেবে শেষ ম্যাচ।’
কেন এভাবে হুট করে সরে যাওয়া? এর জবাবে ৩৬ বছর বয়সী ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ বলেন, এ মুহূর্তে ২০২৩ বিশ্বকাপ নিয়ে ভাবছে বিসিবি। নতুন অধিনায়ক সেট করতে চাচ্ছে তারা। এ সিদ্ধান্তে আমি বোর্ডের সঙ্গে একমত। তাই অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ালাম।
তবে নেতৃত্ব ছাড়লেও সুযোগ পেলে জাতীয় দলে খেলাটা চালিয়ে যেতে চান মাশরাফি। তিনি বলেন, ‘খেলা চালিয়ে যাব আমি। খেলোয়াড় হিসেবে জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করব। আজ সকালেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পেশাদারিত্বের জায়গা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত আমার।’
এর আগে গত রোববার সিলেটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের বলেন, ‘কখন অবসর নেবেন তার সিদ্ধান্ত নেবার অধিকার নিশ্চয় মাশরাফির রয়েছে।’ একই সময় তিনি এটিও বলেন যে, ‘২০২৩ বিশ্বকাপের দিকে তাকিয়ে দলের পরবর্তী অধিনায়ক চূড়ান্ত করবে বোর্ড।’ আগামী ৮ মার্চ মিরপুরের বিসিবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে বোর্ড সভা।
সেদিন পাপন বলেন, ‘দলনেতা কে হবেন সেটি চূড়ান্ত করবে বোর্ড। তারা যাকে ভাল কাজ করবে বলে মনে করবেন তাকেই দলনেতা নির্বাচিত করবেন। আর কখন অবসর নেবেন সেই সিদ্ধান্ত নিবেন মাশরাফি নিজে। বিষয়টি তার উপরই ছেড়ে দিন।’
অবশ্য বিশ্বকাপের পরেই মাশরাফিকে অবসরে দেখতে চেয়েছিল বিসিবি। মাশরাফির নেতৃত্বাধীন টাইগার দল অষ্টম স্থানে থেকে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে। অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির পারফরমেন্স ছিল একেবারেই খারাপ। আট ম্যাচ থেকে একটি মাত্র উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। যদিও বিসিবির ইচ্ছা পূরণ করেননি মাশরাফি। ঘোষণা দেননি অবসরের।