নিজস্ব প্রতিবেদক: একজন কলম যাদুকর। কালির আঁচড়ে যিনি সাদা কাগজে আঁকতেন মধ্যবিত্ত জীবনের না বলা কথা আর, স্বপ্ন আর রূপকথার গল্প। প্রযুক্তি নির্ভর এই যুগেও তাঁর বই পাঠককে চুম্বকের মতো আকর্ষণ করে। নন্দিত সেই কথা সাহিত্যিক, ঔপন্যাসিক নাট্যকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক হুমায়ুন আহমদের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
তাঁর সৃষ্টিতে বৃষ্টি ধরা দিয়েছে বহু ছন্দে। বাঙালি হুদয়কে তিনি মাতিয়েছেন জোছনা বিলাসে । কলমের আঁচড়ে পাঠককে হাসিয়েছেন, কাঁদিয়েছেন, প্রকাশনা শিল্পের সাথে জড়িত বহু মানুষের জীবনকে সাজিয়েছেন। তিনি হুমায়ূন আহমেদ।সাহিত্যে অবদানের জন্য একুশে পদক, বাংলা একাডেমী পুরষ্কার বহু পুরষ্কার ও সম্মাননা অর্জন করেন।
নন্দিত এই কথাসাহিত্যিক, তাঁর সাহিত্যে, নাটক ও সিনেমায় তিনি এমন কিছু চরিত্র নির্মাণ করেন, যেগুলো আশ্চর্য রকম জীবন্ত। হুমায়ূনের গড়া এসব চরিত্রে কখনো তিনি ফুটিয়ে তুলেছেন নিজের প্রতিরূপ।আবার চরিত্রের জনপ্রিয়তা কখনো ব্যক্তি হুমায়ূনকেও যেন ছাড়িয়ে গেছে। রূপালী পর্দায় এই মানুষটি নিজেস্ব এক ভুবন তৈরি করেছিলেন। বাংলা সিনেমার দু:সময়ে হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ও তাঁর উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত সিনেমা মধ্যবিত্ত দর্শককে আবারো ফিরিয়ে এনেছিলেন হলে ।
প্রচণ্ড রোমান্টিকতার প্রলেপ হুমায়ুন আহমেদ গানকে শুদ্ধ করেছিলেন। আবার বিষন্ন ভালবাসা কিংবা মরনের আহবানও তাঁর গানকে দিয়েছে প্রাণ। দৈহিক মৃত্যতে মলিন হয়নি হুমায়ূন আহমেদের সৃষ্টিকর্মের আবেদন। তিনি সেই হাতেগোনা সৃষ্টিশীল মানুষদের একজন; যার অনন্য লেখনীতে বাংলা ভাষাভাষী লাখো পাঠক মুগ্ধ হবে অনন্তকাল।