আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্কঃ জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম।
তিনি বলেন, এখন থেকেই শুরু হয়ে গেল ভারতের ভাঙন। রাজ্যসভা থেকে বেরিয়ে তিনি এমন চাঞ্চল্যকর মন্তব্য করেন।
এর আগে সোমবার (৫ আগস্ট) সকালে কাশ্মীরকে দেয়া বিশেষ মর্যাদা বাতিল করে বিজেপি সরকার। এর ফলে রাজ্যটি নেয়া হয় কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে। আলাদা করা হয় লাদাখকে।
পিদম্বরম ছাড়াও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ বলেন, সংবিধানকে এর মাধ্যেম হত্যা করা হল।
জম্মু-কাশ্মীরের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি এবং ওমর আবদুল্লাহ গৃহবন্দি থাকায় মিডিয়ার সামনে আসতে পারেননি। তেব টুইটারে তাঁরা তীব্র আক্রমণ করেন মোদির নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারকে।
কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের কথা রাজ্যসভায় ঘোষণা করা মাত্রই তুমুল হট্টগোল শুরু করেন বিরোধী দলের সাংসদরা। কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ, তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েন, ডিএমকে-র তিরুচি শিবা, এমডিএমকে-র ভাইকোদের নেতৃত্বে তুমুল বিক্ষোভ শুরু হয়। জম্মু-কাশ্মীরের দল পিডিপির দুই সাংসদ সংবিধানের প্রতিলিপি সংসদের মধ্যেই ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আগেই রুলিং দিয়েছিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু। কিন্তু তাতেও হট্টগোল আটকানো যায়নি। পিডিপি সাংসদদের আচরণে প্রবল অসন্তুষ্ট হন বেঙ্কাইয়া, মার্শাল ডেকে বার করে দেওয়ার নির্দেশ দেন তাঁদের। হট্টগোলের মধ্যেই অমিত শাহ কাশ্মীর সংক্রান্ত ঘোষণাপত্র এবং বিল পড়ে শোনাতে থাকেন।
নরেন্দ্র মোদি সরকারের এ সিদ্ধান্তকে সবচেয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন পি চিদম্বরম। বলেন, সাংবিধানিক ইতিহাসে আজ কালো দিন। সরকার যা করেছে, তা অভূতপূর্ব।
চিদম্বরম গোটা দেশকে সতর্ক করে দেওয়ার ঢঙে বলেন, এটা যদি জম্মু-কাশ্মীরের সঙ্গে করা যায়, তাহলে দেশের অন্য রাজ্যগুলোর প্রত্যেকটার সঙ্গেই করা যেতে পারে।