আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্ক।। তিব্বতে মানবাধিকার বিষয়গুলোর উপর নজর রাখতে যুক্তরাষ্ট্র বিশেষ দূত নিয়োগ করলে চীন সেটির কড়া সমালোচনা করেছে। গত বুধবার শীর্ষ মানবাধিকার কর্মকর্তা রবার্ট ডেস্ট্রোকে তিব্বত বিষয়ক বিশেষ দূত হিসেবে নিয়োগ দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
এর প্রেক্ষিতে চীন বলছে, এ নিয়োগের মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ধ্বংস করে দিতে চায়। প্রেস ব্রিফিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজান বলেন, দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপসহ তিব্বতের উন্নয়ন স্থিতিশীলতা ধ্বংস করতে যুক্তরাষ্ট্রের তিব্বত ইস্যুকে ব্যবহার বন্ধ করতে হবে।
জিনজিয়াং ও তিব্বতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে বারবার সমালোচনা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে এ নিয়ে দেশ দুটির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের সৃষ্টি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, অঞ্চল দুটিতে নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে চীনের নিপীড়ন করছে।
তবে ঝাও লিজান বলেন, তিব্বতের সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠী পুরোপুরি ধর্মীয় স্বাধীনতা ভোগ করছেন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সেখানে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করতে চাচ্ছে।
তিব্বত চীনের সবচেয়ে দরিদ্র এলাকা যেটি ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, নিরাপত্তার কথা বলে সেখানে সাংবাদিকসহ বিদেশিদের প্রবেশের ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আছে।
তবে তিব্বতের রাজধানী লাসায় আঞ্চলিক প্রধান চে ডালহা এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, চীন কখনো কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।