নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ৩য় বারের মতো যাত্রা শুরু করেছে আন্তর্জাতিক উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতা “হাল্ট প্রাইজ”।প্রতিযোগিতাটির এবারের প্রতিপাদ্য “ফুড ফর গুড “।ইতিমধ্যে প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে যা চলবে আগামী ২৩নভেম্বর পর্যন্ত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন সায়েন্স (আইআইএস) এর পৃষ্ঠপোষকতায় এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।প্রতিযোগিতাটিতে প্রতিযোগীরা টিম আকারে (৩ জন বা ৪ জনের) বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে এবং প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশন লিংকটিঃ
প্রতিযোগিতাটি সম্পর্কে হাল্ট প্রাইজের নোবিপ্রবি ক্যাম্পাস ডিরেক্টর সাবিহা তাসমীম বলেন, “হাল্ট প্রাইজ” এর এবছরের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে,” ফুড ফর গুড “অর্থাৎ খাদ্য উৎপাদন, খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, খাদ্য ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ইস্যু নিয়ে বিজনেস আইডিয়া তৈরি করতে হবে যা এসডিজি এর ৭ টি লক্ষ্য পূরণের পাশাপাশি ২০৩০ সালের মধ্যে ১ কোটি লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে সক্ষম হবে।তিনি আরো বলেন,প্রতিযোগিতাটি আয়োজনের জন্য আমরা শিক্ষক মণ্ডলীদের দিকনির্দেশনা পাচ্ছি এবং সেই অনুযায়ী অর্গানাইজিং মেম্বাররা সম্মিলিত ভাবে কাজ করছে।এছাড়াও প্রতিযোগিতাটির এবারের প্রতিপাদ্য “ফুড ফর গুড ” সম্পর্কে বিভিন্ন ইনফো সেশনের আয়োজন করা হয়েছে।”
হাল্ট প্রাইজ নোবিপ্রবির মেন্টর ও ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন সায়েন্সেসের সহকারী অধ্যাপক শামীমা ইয়াসমিন বলেন,বিগত ২ বছর আমরা সফলতার সাথে হাল্ট প্রাইজ অন-ক্যাম্পাস প্রোগ্রামের আয়োজন করে আসছি। আমাদের নোবিপ্রবির ট্রিম মুম্বাই রিজিওনালে রানার্স আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এবছর প্যানডেমিকে যদিও আমরা সরাসরি শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছাতে পারছি না কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, আমাদের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অন-ক্যাম্পাস প্রোগ্রামের অংশগ্রহণ করবে। তিনি আরো বলেন,
বিশ্বব্যাপী খাদ্য সংকট নিরসনে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে এ বছর খাদ্য বিষয়ক চমৎকার একটি চ্যালেঞ্জ দিয়েছে হাল্ট প্রাইজ। আমি আশাবাদী, বিগত সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে আমাদের শিক্ষার্থীরা ভিন্নধর্মী আইডিয়ার মাধ্যমে বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।
উল্লেখ্য,হাল্ট প্রাইজ হলো শিক্ষার্থীদের নোবেল খ্যাত বিশ্বের সবচেয়ে বড় উদ্যোক্তা প্রতিযোগিতা যা জাতিসংঘ, ক্লিনটন ইনিশিয়েটিভস (আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন এর সংস্থা) এবং হাল্ট ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস স্কুল এর যৌথ আয়োজনে বিশ্বের ১০০ এর অধিক দেশে আয়োজিত হয়ে থাকে।প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জাতিসংঘের চিহ্নিত সমস্যার সমাধান এবং তা বাস্তবায়নের জন্য বিজয়ীদের ১ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৮ কোটি টাকা) পুরস্কার প্রদান করা হয়।