নিজস্ব প্রতিবেদক।। মাহমুদুল হাসান জীবন। জীবনের হিসেবে বয় মাত্র ১০ বছর। দুরন্ত ছুটে চলার সময়ে পঙ্গুত্ব নিয়ে জীবন পার করছিলেন তিনি। আর সেই পঙ্গুত্ব থেকে বাচাঁতে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের আইকন,রংপুর জেলা পুলিশের অভিভাবক, মানবিক পুলিশ সুপার জনাব বিপ্লব কুমার সরকার,বিপিএম (বার),পিপিএম। দিয়েছেন নতুন করে বেচেঁ থাকার স্বপ্ন।
জানা যায়, রংপুর নগরী এলাকায় রাজমিস্ত্রিীর ছেলে জীবন। সাইকেল থেকে পড়ে গিয়ে হারান একটি হাত। দারিদ্রের কুপাঘাতে তার বাবা চিকিৎসা করান গ্রাম্য হাতুড়ে ডাক্তার আর কবিরাজের বাড়িতে।
চিকিৎসাভার নিতে গিয়ে সংসারে নেমে আসে দুংখ -দুর্দাশা। সাহায্যে এগিয়ে আসেন স্থানীয় স্কুলের এক নৈশপ্রহরী। অর্থ সংগ্রহে বিভিন্ন জায়গায় চলে খোজ। তবে বিধিবাম। জলদি চিকিৎসা করাতে না পারায় শুরু হয় হাতের পচন। কিছু অর্থ সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেলেও ভর্তি করানো হয়। তবে ততক্ষনে দেরি হওয়ায় নেওয়া হয় বেসসরকারি ক্লিনিকে। অর্থের অভাবে সেখানেও বন্ধ হয়ে যায় চিকিৎসা। কিশোরে দুরান্তপনা বাধার কথা শুনতে পান রংপুরের মানবিক পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার,বিস্তারিত জানার পরে দায়িত্ব নিলেন নিজ অর্থায়নে করাবেন মাহমুদুল হাসান জীবন এর সকল চিকিৎসা,এবং সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত জীবনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানোর ব্যবস্থা করেন তিনি
এমন মহৎ কাজের বিষয়ে এসপি বিপ্লব কুমারের কাছে জানতে চাইলে আমাদেরবাংলাদেশ.কম-কে তিনি বলেন মানুষের জীবনে একটি ছোট্ট হাসি কতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা আমি কখনোই বুঝতে পারবো না। তবে সকল ভাল কাজের মাধ্যমেই মানুষ বেঁচে থাকতে পারে-এই নীতিতেই আমি বিশ্বাসী। তাই আমি যেন একজন অসহায় ছেলে জীবনকে, চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে তাদের মুখে সামান্য হাসি ফুটাতে পারি। তাহলে আমি নিজেকে ধন্য মনে করবো।
আমাদেরবাংলাদেশ.কম/রাজু