ঢাকা।। ইমরান খান, সরফরাজ নেওয়াজ,ওয়াসিম-ওয়াকার জুটি, আকিব জাভেদ, শোয়েব আক্তার, মোহাম্মদ আমির। হাল আমলে শাহীন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ ইরফান। গত তিন দশকে পাকিস্তানের ক্রিকেট যেনো গতির বোলারদের উর্বর ভুমি হিসেবে ক্রিকেট বিশ্বে উপস্থাপন করেছে।
১৪০ তো দূরের কথা, ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ঘন্টায় বোলিংয়ের রেকর্ডটাও উঠেছে এই সময়। গতির সঙ্গে সুইং, রিভার্স সুইং, ইয়র্কার। পাকিস্তানের পেস অ্যাটাক মানেই বৈচিত্র।
এটা তাদের জাতিগতভাবে উঠে আসা বলে মনে করছেন বাংলাদেশ পেস বোলার তাসকিন আহমেদ-‘জাতিগতভাবেই পাকিস্তান থেকে অনেক ফাস্ট বোলার উঠে আসে। নব্বইয়ের দশক থেকে অনেক কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার খেলেছেন। এখনও ভালো ফাস্ট বোলার আছে।’
ধীরে ধীরে পেস বোলিং ইউনিটে ইমপ্রুভ করছে বাংলাদেশ। তবে এই ডিপার্টমেন্টে পাকিস্তানের চেয়ে পিছিয়ে। তা অবলীলায় স্বীকার করেছেন তাসকিন-‘তুলনামূলকভাবে আমরা তাদের চেয়ে পিছিয়ে। কিন্তু আমাদেরও উন্নতি হচ্ছে।’
আসন্ন সিরিজে পাকিস্তানের পেসারদের সাথে কথা বলে ব্যবধান কমানোর উপায় খুঁজে বের করতে চান তাসকিন-‘ যেহেতু একসাথে সিরিজ খেলব, সুযোগ হলে ওদের সাথে কথা বলব। ওরা এমন কিছু শেয়ার করতে পারে যেটা আমাদের ফাস্ট বোলারদের কাজে লাগতে পারে। সব ধরনের ফরম্যাটে সব ধরনের ফাস্ট বোলার ওদের আছে। এশিয়ান কন্ডিশন থেকে এরা অন্য পর্যায়ের ফাস্ট বোলার পাচ্ছে- ব্যাপারটা প্রেরণাদায়ক। এজন্য অবশ্য ওদের কন্ডিশনও ভূমিকা রাখে। আশা করছি ওদের মত আমাদেরও ভালো ভালো ফাস্ট বোলার আসবে ইনশাআল্লাহ্।’
মিরপুরে আসন্ন সিরিজে স্পোর্টিং উইকেট প্রত্যাশা করছেন তাসকিন-‘ফাস্ট বোলাররা সবসময় বোলিং সহায়ক উইকেটে খেলতে চায়। কিন্তু সাদা বলে বোলিং সহায়ক উইকেটে কমই খেলা হয়নি। স্পোর্টিং উইকেটই বেশি খেলা হয়। মিরপুরেও স্পোর্টিং উইকেট আশা করছি যেখানে ব্যাটার বোলার উভয়ই সুবিধা পাবে। কন্ডিশন যেমনই থাক, বোলার হিসেবে ঐ কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়াটাই চ্যালেঞ্জ। আমিও শিখছি কীভাবে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া যায়, সব কন্ডিশনে মানিয়ে নেওয়া যায়। সব কন্ডিশনে যাতে সেরাটা দিয়ে ভালো করতে পারি এটাই আমার চ্যালেঞ্জ।’