নিজস্ব প্রতিবেদক।। অবিরাম বৃষ্টি আর উজানে ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি আবারও বৃদ্ধি পেয়েছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার চরাঞ্চলের কমপক্ষে দশটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বাড়িঘর তিন থেকে চার ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ১২ হাজার মানুষ।
বাড়িঘর প্লাবিত হয়ে চরাঞ্চলের ধুসমারার চর,আজম খাঁ চর,হাইবত খাঁ গোনাই,পল্লীমারী,চর একতা,চর মিলনবাজার,গোপীকাল্লা,ডালার চর,চর গোদাই প্রভৃতি এলাকার শত শত পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থান এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ৩টায় কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টার বন্যার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার নিচে নেমে আসতে পারে। একইভাবে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে পানি নাও বাড়তে পারে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান,তিস্তা নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। সে কারণে দুর্গম চরাঞ্চলে বসবাসকারী মানুষদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে,কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহিদুল হক জানিয়েছেন,পানিবন্দি মানুষদের উদ্ধার করার জন্য দুটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দুর্গত মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ রয়েছে। মঙ্গলবার থেকে দুর্গত মানুষদের মাঝে বিতরণ শুরু করা হয়েছে।
এছাড়া তিনি আরও জানান,যেভাবে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে উপজেলার চারটি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
আমাদেরবাংলাদেশ ডটকম/রাজু