মোঃ আরিফ মন্ডল, বিশেষ প্রতিনিধি : আশুলিয়ায় ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে ছদ্মবেশে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে মানহানি ও সহায়তার অপরাধ উল্লেখ করে একজন সাবেক অধ্যক্ষ সহ ২ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।
আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকার টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোহাম্মদ মোজাফফর হোসাইন আকাশ (৩৮) একই প্রতিষ্ঠানের সাবেক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ (৪০) এবং হুজাইফা রহমান সারা- এই দুইজনের বিরুদ্ধে।
গত ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ তারিখে সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতে পিটিশন মামলা (২৯৮/২০১৯) দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কে অভিযোগটি প্রাথমিক তথ্য বিবরণী (এফ.আই.আর) তে রেকর্ড করে নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু করার নির্দেশ প্রদান করেন। সেই অনুযায়ী আশুলিয়া থানা গত ১০ অক্টোবর, ২০১৯ তারিখে মামলা গ্রহন করে।
মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেন, টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ১ নং বিবাদী মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ প্রতিষ্ঠানের আনুমানিক কোটি টাকা আত্মসাৎ করায় প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পরিষদের সর্বসম্মতিক্রমে তাকে তার পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। এর জেরে তিনি নিজের অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে এবং প্রতিষ্ঠানটিকে অচল করে দিতে বিভিন্ন বানোয়াট এবং আপত্তিকর ভিডিও প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি ছাত্রছাত্রীদের দেখান। তার উস্কানিতে ছাত্রছাত্রীরা সড়কে নেমে এসে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি সহ এই প্রতিষ্ঠানের বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাংচুর করে।
এই ঘটনা উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোহাম্মদ মোজাফফর হোসাইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৩/২৪/২৫/২৯/৩৫ ধারায় বিবাদী দুইজনের বিরুদ্ধে সাইবার ট্রাইব্যুনালে পিটিশন করলে আদালতের নির্দেশে বিষয়টি আশুলিয়া থানায় মামলা হিসেবে রুজু হয়।মামলার বিবাদী মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ (৪০) এবং হুজাইফা রহমান সারা- দু’জনের সাথে যোগযোগ সম্ভব না হওয়ায় এবিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ রানা এবং মামলার বাদী মোহাম্মদ মোজাফফর হোসেন আকাশ,মামলার আসামীদ্বয় গ্রেপ্তার না হওয়ায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আব্দুল জলিল এর নিকট মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।