নিজস্ব প্রতিবেদক।। পঞ্চগড়ে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে জাতীয় দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার ৩ম বছরে পদার্পণ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (২৫ এপ্রিল) বিকাল ৫টাযর সময় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক কামরুজ্জামান জনির সভাপতিত্বে ও দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি শাহীন আলম আশিকের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা প্রেসক্লাবের সভাপতি আওরঙ্গজেব কামাল।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন,সামাজিক মাধ্যম ও দায়বদ্ধতা নিয়ে বলেন,মানুষ যেখানে ভাবনা শেষ করে,সেখান থেকে একজন সাংবাদিক ভাবতে শুরু করেন। আর আমরা এখন যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সবার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে নোংরা মানসিকতার পরিচয় দিচ্ছি। এমন অনেক ঘটনায় একজন সাংবাদিককে যখন দেখি, রঙ্গ-তামাশায় মেতে ওঠেন,তখন বুঝতে বাকি থাকে না-পরিণতির দৌড়গোড়ায় মনে হয় আমরা। দলীয়করণ, বিভক্তি এসব কারণে সাংবাদিকদের সংগঠনগুলো তো রসাতলে গেছেই। পেশায় সংবাদকর্মী। পরিবার থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই পরিচয়ের কিছুটা ব্যাপ্তি রয়েছে। আর যখন একজন সাংবাদিক ভালো রিপোর্ট করেন,তখন সামাজিক মাধ্যমে তার ওয়ালে ছড়িয়ে দেয় দ্যুতি।
এসময় তিনি আরও বলেন,সমাজের আর দশটা মানুষের কাছ থেকে কিছুটা আলাদা হয়ে ভাবতে হয় একজন সাংবাদিককে। কেউ বুয়েট,কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং আবার কেউ চিকিৎসা পেশা ছেড়ে এসেংবাদিকতায়। বিসিএস ক্যাডার বা ব্যাংকের কড়কড়ে নোটের সুবাস ছেড়ে যুক্ত হয়েছেন নাক সিটকানো পেশা সাংবাদিক তায়। তাহলে অবশ্যই এই পেশার একটা মোহ সবার মধ্যেই কাজ করে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দাপটে নাস্তানাবুদ এখন গণমাধ্যম। সেই ফেসবুকে এখন প্রচুর রিপোর্ট হয়,অনেক শেয়ার হয়। অনেক ঘটনা নিয়ে হয় ট্রল। চলে সেগুলো নিয়ে নগ্ন তামাশা। ক্ষণিকের আনন্দ আর লাইক-শেয়ার পেতে কাউকে হেনস্তা করতে ছাড় দেয় না ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। তবে এতে একটা বিষয় পরিষ্কার হয়,আপনি আসলে কেমন রুচি কিংবা মানসিকতার ধারক-বাহক।
সমাজে একজন সাংবাদিক হিসেবে পরিচয় পাওয়া মানুষ এই নোংরামিতে যুক্ত হতে পারেন না। এই অভিযোগ শুনে অনেক সাংবাদিক বলে উঠতে পারেন, ‘ফেসবুকে তো সাংবাদিকতা করতে যাই না। আমার নিজস্ব মতামত তুলে ধরি।’এটাও ঠিক আছে,তাহলে ধরে নিতে হবে সাংবাদিকতা করে তো আপনার মেধা-মনন-মানসিকতার কোনো উৎকর্ষ সাধন হয়নি।এ সময় তিনি আরও বলেন আপনাদের সহযোগিতা পেলে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে দৈনিক মুক্তির লড়াই আরো একধাপ এগিয়ে যাবে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পঞ্চগড় জেলার সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এটিএম সরোয়ার ও পঞ্চগড় জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এডভোকেট মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল,সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ বারী,ঢাকা প্রেসক্লাবের যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শাহাদাত মোল্লা।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন একাত্তর টেলিভিশন এর প্রতিনিধি রফিকুল ইসলাম,পঞ্চগড় নিউ প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো: তোতামিয়া,সাধারণ সম্পাদক আসমা আকতারা আঁখি,আলমগীর হোসেন,সাংবাদিক এস এম সাদিকুজ্জামান সোহেল,আসাদুজ্জামান রানাসহ প্রমূখ। এই সময় আমন্ত্রিতরা সবাই দৈনিক মুক্তির লড়াই পত্রিকার উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
এবিডি.কম/রাজু