বিশেষ প্রতিনিধি:
পুলিশ সপ্তাহ ২০১৯’ উপলক্ষে ২০১৮ সালের প্রশংসনীয় ও ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ৫১৪ জন পুলিশ সদস্যকে `IGP’s Exemplary Good Services Badge’ (আইজি’জ ব্যাজ) প্রদান করা হয়। বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) ৫১৪ জন পুলিশ সদস্যকে এই ব্যাজ পরিয়ে দেন।
আজ ৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে অনুষ্ঠিত বার্ষিক পুলিশ কুচকাওয়াজের অভিবাদন গ্রহণ শেষে আইজি’জ ব্যাজ পরিয়ে দেন আইজিপি। সেই সাথে পুলিশ সপ্তাহ প্যারেড ও শীল্ড প্যারেড প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী কন্টিনজেন্টকে ট্রফি ও শীল্ড প্রদান করেন আইজিপি।
এসময় সকলের উদ্দেশ্যে আইজিপি বলেন, যারা আইজি ব্যাচ পেয়েছেন প্রত্যেককেই অভিনন্দন জানাচ্ছি। এই স্বীকৃতি আপনাদের ভবিষ্যতে কাজে অনুপ্রাণিত করবে। যেখানে মাদক আছে সেখানে অবৈধ অস্ত্র আছে। প্রায় ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে, ইউনিট মাদক উদ্ধারে প্রথম হয়েছে, সেই ইউনিট অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারেও প্রথম হয়েছে। মাদক ও অবৈধ অস্ত্র সমাজের বিশফোঁড়া। মাদক নির্মূল ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার না করতে পারলে একটি সুন্দর নিরাপদ সমাজ তৈরি করা সম্ভব হবে না। পুরস্কার নামমাত্র উপহার নয়, পুরস্কার দক্ষতা ও ভালো কাজের স্বীকৃতি। আপনারা ভালো কাজের স্বীকৃতি পেয়েছেন। পুরস্কার মানুষের মাঝে ভালো কাজের তাগিদ সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকার ইতোমধ্যে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। এই নীতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে ইতিমধ্যে বাংলাদেশ পুলিশ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, ছাত্র-শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে নিয়ে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছে। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশের কঠিন অবস্থানের ফলে জঙ্গিবাদের ভয়াল থাবা থেকে দেশ অধিকাংশে মুক্ত হয়েছে। জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ যে সাফল্য দেখিয়েছে, আইজিপি হিসেবে আমি গর্ববোধ করি। আপনাদের সকলকে সদাসতর্ক থেকে কাজ করে যেতে হবে।
আইজিপি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। ২০১৮ সালের মাদক সংক্রান্ত ১ লাখ ১২ হাজার মামলায় প্রায় দেড় লাখ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ সময়ে আনুমানিক ১৬শ ৩৯ কোটি ৭০ লাখ টাকার মাদক উদ্ধার করা হয়েছে। যদি পুলিশ বাহিনীর কোন সদস্যের বিরুদ্ধে মাদকের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রমানিত হয় তাকে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।
এছাড়াও তিনি বলেন, এবারের আইজি ব্যাজে পুরস্কৃত অর্থের পরিমান বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করা হয়েছে। আগে ১০ হাজার টাকা করে দেয়া হতো। পুলিশ সপ্তাহের আগে এই প্রথম পুলিশ সেবা সপ্তাহ-২০১৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পুলিশের কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক। নিরিহ মানুষকে কোন অবস্থায় হয়রানি করা যাবে না। পুলিশকে শতভাগ জনমূখী হতে হবে। সমাজের সকল মানুষের কাছে পুলিশের সেবা পৌঁছে দিতে হবে। থানাকে তৈরি করতে হবে সেবার কেন্দ্রবিন্দুতে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সারাদেশ থেকে আসা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।