বেনাপোল প্রতিনিধি।। যশোরের বেনাপোল সাদিপুর গ্রামে পারিবারিক কলহের জের ধরে মিলন হোসেন(৩৫)ও জনি(৩২)কে নিজ আপন শালা সন্ত্রাসী আবুবক্কর ও ফারজেল কুপায়ে রক্তাক্ত ভাবে জখম করে।ঘটোনাস্থল থেকে নিজ শ্বশুর ও চা শ্বশুর ভুট্রো ও নেদা কে আটক করে । পরে ভারতে পালাবার সময় ফারজেল কে আটক করে পুলিশ।
আহতরা হলো বেনাপোল পোর্টথানা ধীন সাদিপুর গ্রামের উসমানের ছেলে মিলনও দাউদের ছেলে জনি।তাদের অবস্থা আশাঙ্খাজনক হওয়ায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতাল নেয়।অবস্থা আরো বেগনিত দেখে যশোর সদর হাসপাতালে রেফান্ট করা হয়। আসামিরা হলো একই গ্রামের ভুট্রো তার ভাই নেদা ও ছেলে আবুবক্কর, মৃতঃখোদাবক্সের ছেলে ফারজেল।
শনিবার(১২সেপ্টেম্বর)সকাল সাড়ে১০টার সময় সাদিপুর মাঠপাড়ায় মিলনের দোকানের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
উপস্থীত স্থনীয়রা জানান,সকালে মিলনের বউয়ের সাথে পরিবারির ঝামেলা হলে শ্বশুর বাড়ির লোকজন এসে তার দোকানের মধ্যে ফেলে কেজি বাটকারা দিয়ে মাথায় বেধড়ক মারতে থাকে আবুবক্কর সহ অন্যারা। এ পরিস্থিতি দেখে জনি ঠেকাতে গেলে তার মাথায় হাসুয়া দিয়ে ফারজেল কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়।আরো জানান,মিলনের চাচা শ্বশুর সাদিপুরের অস্ত্র ও মাদক সম্রাট নেদা ঘটোনাস্থলে এসে তাদেরকে পিস্তল দিয়ে গুলি করার হুমকি দেয়।
আহতের বাবা দাউদ জানান,আমার ছেলের সামনে একটা মানুষকে পিটিয়ে জখম করছে দেখে ঠেকাতে যেয়ে তার উপর যে নিষ্ঠুর বর্বরতা ভাবে মাথায় কুপায়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা।ছেলের অবস্থা ভালো না আমি এর সঠিক বিচার চাই।ভুট্রো ও নেদার ইংগিতে তারা এ জঘন্ন কাজ করেছে।তা না হলে এমন অপরাধ মুলক কর্মকান্ড ঘটতো না।আমার ছেলেকে যশোর থেকে খুলনা সদর হাসপাতালে নিয়েছি।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মামুন খান বলেন,আহতদের মা বাবা থানায় এসে ৪ চার জনের নামে মামলা করেছে।ঘটোনাস্থল থেকে দু জনকে আটক করা হয়েছে পরে আরেক জন কে আটক করা হয়। অপরাধী যে হোক না কেন পার পাবে না।ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।