আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্ক।। ফরজ নামাজের পরে বিভিন্ন জিকির ও দোয়া-দরুদ পাঠ করা মোস্তাহাব। দোয়া কবুলের গুরুত্বপূর্ণ সময় এটা। তবে মোনাজাতে যা বলি বা যা বলতে শুনি তার বাংলা অর্থ জানা থাকলে দোয়া চাইতেও অন্যরকম লাগে…দোয়া বা মোনাজাতের পূর্বে দরুদে ইব্রাহিম পড়া উত্তম।
এক হাদীসে বর্নিত আছে, আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে একজন ফেরেশতা নির্ধারিত আছেন যখন কোন ব্যাক্তি ৩ বার “ ইয়া আর হামার রাহেমিন ” ( হে সকল দয়াশীলদের চেয়ে বড় দয়াশীল) তখন উক্ত ফেরেশতা ঐ ব্যাক্তিকে বলেন, নিশ্চয়ই সবচেয়ে বড় দয়াশীল তোমার প্রতি মনযোগী আছেন, এখন তুমি যা ইচ্ছা তাই চাও(তোমার দোয়া নিশ্চয়ই কবুল হবে)
আউজুবিল্লাহি আন আকুনা মিনাল জাহেলিন।
অর্থ: আমি আল্লাহতায়ালার নিকট মূর্খের ন্যায় দোয়া করা থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।(কেননা অনেক সময় আমরা এমন কিছু চেয়ে ফেলি যা হয়ত আখের আমাদের জন্য ভাল নয়।)
আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম, ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারকতা ইয়াজাল জালালি ওয়াল ইকরাম।
অর্থ: হে আল্লাহ! তোমার গুণবাচক নাম সালাম। তুমি শান্তিদাতা। তুমি কল্যাণময়। তুমি সম্মান ও মর্যাদার অধিকারী।
লা ইলাহা ইল্লা আন্তা সোবহানাকা ইন্নি কুন্তু মিনাজ জোয়ালিমিন।
অর্থ: কোন মাবুদ নেই আপনি ছাড়া। আপনি পূত ও পবিত্র, অবশ্য আমি আমার আত্নার উপর অত্যাচারকারী।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিউল আযীম।
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নাই কোন লক্ষ্য অর্জনের শক্তি মহান আল্লাহতায়ালার কাছ থেকেই পাওয়া যেতে পারে।
আলিফ লাম মিম আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়াল হ্যায়ুল কাইয়্যুম-
অর্থ: আল্লাহ ছাড়া কোন মা’বুদ নাই তিনি চিরঞ্জীব চির স্থায়ী।
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ দাহু, লা শারিকা লাহু, লাহুল মুলকু ওলাহুল হামদু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বদির-
অর্থ: আল্লাহ ব্যতীত আর কোনো উপাস্য নেই। তিনি একক। তার কোনো শরিক নেই। সার্বভৌমত্বের মালিক তিনি। সকল প্রশংসা তার। তিনি সবকিছুর ওপর সামর্থ্যবান।
রাব্বাবা যালামনা আনফুসানা ওয়া ইল্লাম তাগফির্লানা ওয়াতার হামনা লানা কুনান্না মিনাল খা’সিরিন।
অর্থঃ হেআল্লাহ্, আমি আমার নিজের উপর জুলুম করে ফেলেছি। এখন তুমি যদি ক্ষমা ও রহম না কর, তাহলে আমি ধ্বংসহয়ে যাব।
রাব্বানা ফাগফিরলানা যুনুবানা ওয়া কাফফির আন্না সাইয়্যিআতিনা ওয়া তাওয়াফ্ফানা মায়াল আবরার। (সূরা আল ইমরান, আয়াতঃ ১৯৩)
অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদের গুনাহসমূহ মাফ করে দাও, আমাদেরথেকে সকল মন্দ দূর করে দাও এবং আমাদের নেক লোকদের সাহচার্য দান কর।
রাব্বানা লা’তুযিগ কুলুবানা বা’দা ইয হাদাইতানা ওয়া হাবলানা মিল্লাদুনকা রাহমাতান, ইন্নাকা আনতাল ওয়াহাব। (সুরা আল ইমরান, আয়াতঃ০৮)
অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, সরলপথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকেবক্র করে দিওনা এবং তুমি আমাদের প্রতি করুনা কর, তুমিই মহান দাতা।
রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিইয়াতিনা কুররাতা আইইনিও ওয়াজ আলনা লিল মুত্তাক্বিনা ইমামা। (সূরা আল ফুরকান, আয়াতঃ ৭৪)
অর্থঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমাদিগকে আমাদের স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততিগণ হতে নয়নের তৃপ্তি দান কর এবং আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানাও।
রাব্বি হাবলি মিনাস সালেহীন।
অর্থঃ হে আমার পালনকর্তা, আমাকে নেককার সৎ-কর্মশীল সন্তান দান কর।
রাব্বিগ ফির ওয়ারহাম ওয়া আনতা খাইরুর রাহিমীন।
অর্থঃ হে আল্লাহ্, আমাকে ক্ষমা করে দাও, আরআমার প্রতি রহম কর, তুমিই তো উত্তম দয়ালু।
হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি’মাল ওয়াকীল, নি’মাল নাসির।
অর্থঃ মহান আল্লাহর সাহায্যইআমাদের জন্য যথেষ্ট, তিনিই উত্তম জামিনদার।
হাসবি আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আলাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশিল আজিম।
অর্থ : আমার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট, তিনি ছাড়া আর কোনো ইলাহ নেই। আমি তারই উপর নির্ভর করি। তিনি মহা আরশের অধিপতি। (সুরা তওবা: আয়াত-১২৯)
আল্লাহুম্মা আইন্নি আলা জিকরিকা ওয়া শোকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমাকে তোমার জিকির করার সুযোগ দাও। তোমার নিয়ামতের কৃতজ্ঞতা আদায়ের সুযোগ দাও। সুন্দরভাবে তোমার ইবাদতের সুযোগ দাও।
সবার প্রতি অনুরোধ রইল কুরআন থেকে আরবী উচ্চারণ দেখে পড়ার।
আমাদেরবাংলাদেশ.কম/রাজু