লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা।।চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় গত ১৮ জুলাই রোববার রাত ৮টার দিকে ৭মাসের অন্তসত্তা একগৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে।
লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্ত্রী ফারজানা ইয়াছমিন কলির (২০) লাশ ফেলে পালিয়েছে স্বামী। লোহাগাড়া উপজেলার চরম্বা ইউনিয়নের মাইজবিলা গ্রামের বাপের বাড়ির শ্বশুরালয়ে মৃত্যু হয়েছে এ গৃহবধুর। সংবাদ পেয়ে লোহাগাড়া থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৌঁছে লাশের সুরতহাল লিপিবদ্ধ করে।
লোহাগাড়া থানার এসআই ভক্তচন্দ্র দত্ত বলেছেন, গৃহবধুর গলায় ফাঁশিতে ঝুলার রশির দাগ পাওয়া গেছে। তিনি জনান, ময়নাতদন্ত রির্পোট পাওয়ার পর জানা যাবে এগৃহবধুর মৃত্যুর মূল রহস্য। গত ১৯ জুলাই সোমবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ প্রেরণ করা হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে।
গৃহবধু কলি মিস্ত্রী বাপের বাড়ির জিউয়ার রহমান (৩০) এর স্ত্রী ও চরম্বা ইউনিয়নের আতিয়ার পাড়ার আজিজুর রহমানের কন্যা বলে জানা গেছে।২০২০ইং সনের ১১জানুয়ারী ফারজানা ইয়াছমিন কলি ও জিয়াউর রহমানের মধ্যে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় বলে জানা যায়। বিয়ের ১ বছর সাড়ে ৬মাসের মধ্যে অস্বভাবিক মৃত্যু হল অন্তসত্তা এগৃহবধুর।
গৃহবধুর মৃত্যুর ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাশুড়ি রাজিয়া বেগম (৫৫) কে আটক করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ। গৃহবধুর মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শক করেছেন সাতকানিয়া সার্কেল এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকরিয়া রহমান জিকু ও লোহাগাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ জাকের হোসাইন মাহামুদ।
গৃহবধু ফারজানা ইয়াছমিন কলিকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী তার মা রেজিয়া বেগমের। তিনি সংবাদ মাধ্যকে জানান, বিয়ের পর থেকে মেয়ের সংসার জীবন তেমন ভালো যায়নি স্বামী জিয়াউর রহমান টাকার জন্য কলিকে প্রায়সময় শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতেন।