ঢাকা।। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমি মনে করি, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো সংগঠনের প্রয়োজন আছে। কারণ, দেশে দেশে যদি মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, তবে ইন্টারন্যাশনাল ভয়েসের প্রয়োজন আছে। তিনি বলেন, সেই সংগঠন যখন পক্ষপাতদুষ্ট, এমন প্রতিষ্ঠান যখন নিজেদের ক্রেবিলিটি হারায়, সেটি আমাদের পীড়া দেয়।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে ওকাব (ওভারসিজ করসপনডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের সময় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিবৃতি দিয়েছিল। কিন্তু আমাদের দেশে যখন রাস্তায় নির্বিচারে মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছিল, তখন তারা বিবৃতি দেয়নি। তাহলে সেই সংগঠন কি পক্ষপাতদুষ্ট নয়?
বাংলাদেশে গণমাধ্যমের সূচক নিয়ে ফ্রান্সভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের রিপোর্টের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে আফগানিস্তানে সাংবাদিকতা বলে কিছু নেই, তার নিচে বাংলাদেশকে রেখে তারাই প্রমাণ করেছে, তাদের রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট।
টিআইবি রাজনৈতিক দলের মতো বিবৃতি দেয় মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, টিআইবির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো থাকা প্রয়োজন। কিন্তু সেই সংগঠনগুলো যদি রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেয়া শুরু করে, গ্রহণযোগ্য সেই সংগঠনের আর গ্রহণযোগ্যতা থাকে না।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমি মনে করি, বাংলাদেশের সাংবাদিকরা ও সংবাদ মাধ্যম অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করে। এটি অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য উদাহরণ। কেউ যদি নিজেদের (সাংবাদিক) ভয় পায়, সে ক্ষেত্রে সরকার বা অন্য কারও কিছু করার আছে বলে আমি মনে করি না। যারা সৎ সাংবাদিক, তাদের নির্ভয়ে কাজ করা দরকার। যারা সৎ সাংবাদিকতা করেন, সমাজের ত্রুটি বিচ্যুতি তুলে ধরেন এবং সমালোচনা করেন, এই কাজগুলো যেই সাংবাদিক করেন, তাদের পাশে সরকার আছে।