একই গ্রুপে ৯ জন সদস্য তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে হত্যাকাণ্ড পরিকল্পনা। ১ম গ্রুপ অটোরিকশা ভাড়া করে নিয়ে যায়। ২য় গ্রুপটি বিভিন্ন স্থানে পাহারায় থাকে এবং ৩য় গ্রুপটি নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছানোর পর অটোচালককে ধরে হাত-পা বেঁধে নির্মমভাবে হত্যা করে অটোরিকশাটি নিয়ে চলে যায়।
চাঁদপুরের অটোচালক মো. সাব্বির হোসেন হত্যাকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
তিনি জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত অটোরিকশাচালক সাব্বির কচুয়া উপজেলার পালখাল ইউনিয়নের ভূঁইয়ারা গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে।
যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তারা হলেন— চাঁদপুর সদরের তরপুরচন্ডী এলাকার মো. জহির বাবলা, মতলব দক্ষিণ উপজেলার মো. আনিছুর রহমান, একই উপজেলার মো. রাজু বেপারী , মো. রাকিব , ও মো. আমির হোসেন হানজালা নরসিংদী জেলার পলাশ থানার চর সিন্দুরের কবির হোসেন, এবং দিনাজপুর জেলার কোতয়াালী থানার মতুল্লাপুর এলাকার হামিদুর রহমান (৪১)।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, সাব্বির গত ২৪ জানুয়ারি বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। রাতে বাড়ি না ফিরলে পরদিন তার মা জাহানারা বেগম থানায়। তার ছেলে নিখোঁজ এ কারণে তিনি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ স্থানীয় সংবাদের ভিত্তিতে ওই ইউনিয়েনর সেঙ্গুয়া নামক স্থান থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় চালকের পরিবার ২৬ জানুয়ারি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, পুলিশ প্রথমে আসামি হানজালাকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা পর্যন্ত চাঁদপুর ও নারায়নগঞ্জে অভিযান চালিয়ে বাকি ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। অটোরিকশার বিভিন্ন যন্ত্রাংশও পাওয়া গেছে আসামিদের কাছে।