গত ২১ ফেব্রুয়ারী “তালাশ বিডি” অনলাইন পত্রিকায় “চালান দেওয়া আসামী পথে থেকে ফিরিয়ে নিয়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ মতিহার থানার সেকেন্ড অফিসারের বিরুদ্ধে” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানায় কর্মরত পুলিশ অফিসার এসআই আশেকুল ইসলাম। তিনি বলেন,“আমাকে নিয়ে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণীত । ঘটনাসূত্রে জানা যায়, এসআই (নিঃ) এ.টি.এম আশেকুল ইসলাম রাত্রী অনুমান ০৮ ঘটিকায় “জাতীয় জরুরী সেবা” ৯৯৯ ও ভিকটিম মোঃ সানোয়ার রহমান (৫২), পিতা-আবু তাহের, মাতা-আমেনা বেগম, সাং-কাজলা, থানা-মতিহার, মহানগর রাজশাহী এর প্রদত্ত সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন, মতিহার থানাধীন অক্ট্রোয় মোড়স্থ জনৈক রবি এর মোটর সাইকেলের গ্যারেজের সামনে একটি মোটরসাইকেল ও ইমা গাড়ী দূর্ঘটনায় পতিত হয়েছে।
উক্ত সংবাদের প্রেক্ষিতে তিনি তার সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মোটরসাইকেল ও ইমা গাড়ীর দূর্ঘটনায় আহত মোটরসাইকেল চালক সানোয়ার রহমান (৫২), পিতা-আবু তাহের, মাতা-আমেনা বেগম, সাং-কাজলা, থানা-মতিহার, মহানগর রাজশাহী ও তার নিজ মোটরসাইকেলের আরোহী জয়নাল আবেদীন জয় (৪০), পিতা-জালাল উদ্দিন, সাং-ছত্রগাছা, থানা-বেলপুকুর, মহানগর রাজশাহীদ্বয়কে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহায়তায় ঘটনাস্থল হতে একটি ইমা গাড়ী, যার রেজিঃ নং রাজ-মেট্রো-ছ-১১-০৩৪৪ এবং ইমা গাড়ীচালক সাফিয়ান ইসলাম সাফিন (২৪), পিতা-মুকুল হোসেন, সাং-নন্দনগাছী, থানা-চারঘাট, জেলা-রাজশাহী ‘কে হেফাজতে নেন এবং মতিহার থানায় নিয়ে আসেন।
পুলিশ হেফাজতে থাকা ব্যক্তি হঠাৎ করেই তার শরীরে জ্বর জ্বর অনুভব এবং শরীর খারাপ লাগতে থাকলে তা থানার ডিউটি অফিসার অবগত হন। পুলিশ হেফাজতে থাকা ব্যক্তি সাফিয়ান ইসলাম সাফিন(২৪) কে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা করলে পথিমধ্যে পুলিশ হেফাজতে থাকা ব্যক্তি জানতে পারেন যে গত ২০/০২/২৫খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকার দিকে তার ইমা গাড়ির সাথে মোটরসাইকেল চালক সানোয়ার রহমান যে দুর্ঘটনা ঘটেছিল তা উভয়পক্ষ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আপোষ মীমাংসা করে নিয়েছে। এই সংবাদ শুনে সে শারীরিকভাবে কিছুটা সুস্থ বোধ করে এবং পুলিশকে জানায় যে সে আর হাসপাতালে যাবে না বাসায় গিয়ে চিকিৎসা করবে। তখন পুলিশ তাকে পুনরায় থানায় নিয়ে আসে। অভিযোগ দাখিলের পরবর্তীতে উভয় পক্ষের মধ্যে আপোষ-মীমাংসা হলে এবং বাদী তার নিজ নাম স্বাক্ষরিত দাখিলকৃত অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন করেন।
উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে আহত মোটরসাইকেল চালক সানোয়ার রহমান (৫২) এর স্ত্রী মোসাঃ সাবিনা ইয়াসমিন(৪০) বাদী হয়ে অফিসার ইনচার্জ, মতিহার থানা, আরএমপি, রাজশাহী বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিলের পরমূহুর্তেই বাদীর ও সাক্ষীদের নিজ নিজ নাম স্বাক্ষরিত আপোষনামা ও বাদীর তার নিজ নাম স্বাক্ষরিত দাখিলকৃত অভিযোগ প্রত্যাহারের বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ, মতিহার থানা, আরএমপি, রাজশাহী বরাবরে আবেদন করেন। বাদী তার আবেদনে উল্লেখ করেন যে, তারা উভয় পক্ষ স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ মস্তিষ্কে, অন্যের বিনা প্ররোচনায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে স্থানীয়ভাবে আপোষ মিমাংসা সম্পন্ন করেছেন। বিধায়, বাদী বা তার পরিবারের অন্য কোন সদস্যদের উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন প্রকার অভিযোগ বা অনুযোগ নেই। এমনকি পুলিশ হেফাজতে থাকা ব্যক্তি সাফিয়ান ইসলাম সাফিন (২৪) এর বিরুদ্ধে কোন প্রকার মামলা মোকদ্দমা করবেন না। তিনি আরো উল্লেখ করেন যে, পুলিশ হেফাজতে থাকা ব্যক্তিকে তার পরিবারের নিকট জিম্মায় প্রদান করলে তাদের কোন প্রকার আপত্তি নেই। উক্ত আপোষনামা ও দাখিলকৃত অভিযোগ প্রত্যাহারের আবেদন প্রাপ্তির পর পর্যালোচনা সাপেক্ষে পুলিশ হেফাজতে থাকা ব্যক্তি সাফিয়ান ইসলাম সাফিন (২৪) কে তার পরিবারের নিকট মুচলেকা ও জিম্মানামা মূলে প্রদান করা হয়। নিবেদক, এস আই আশেকুল ইসলাম , মতিহার থানা (আর এমপি) রাজশাহী।