বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের এসপি মাসুদ সহ আরও ৫ পুলিশ কর্মকর্তাকে বিশেষ রাষ্টীয় সম্মননায় ভূষিত করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।এ উপলক্ষ্যে এসপি মাসুদ দপ্তরের সকল উর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি বলেন-একত্রে কক্সবাজার জেলা পুলিশের পাঁচজন সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক পাওয়া নিঃসন্দেহে গৌরবের বিষয় ও জেলা পুলিশের জন্য প্রশংসনীয় রেকর্ড। পদক প্রাপ্ত টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন-কৃতকর্মের মূল্যায়ন হওয়ায় কর্মস্থলে সাহসিকতা ও অদম্য মনোবল নিয়ে কাজ করতে আরো স্পৃহা ও উদ্যোম বেড়ে যাবে। এ সম্মাননা তাঁর পেশাগত দায়িত্ব ও কর্তব্যকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। পুরস্কার প্রাপ্ত কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন-এ প্রাপ্তি পুলিশকে আরো জনবান্ধব ও সেবামুখী করে তুলবে। দাপ্তরিক কাজের গতি ও সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। পদকগ্রহন করে টেকনাফ মডেল থানার এসআই শরিফুল ইসলাম তাঁর প্রতিক্রিয়ায় বলেন-এ পুরস্কার আমার জীনের একটা মাইলফলক। ঝুঁকি ও ত্যাগের স্বীকৃতি পেলাম এবং অপরাধ দমনে অদম্য মনোভাবের সৃষ্টি হয়েছে। এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন সহ পদক প্রাপ্ত সকলে কর্মজীবনের আরো সাফল্যের জন্য সবার কাছে দোয়া ও সকলের সহযোগিতা চেয়েছেন। স্বামীর গৌরবময় পদক প্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেনের সহধর্মিনী জেনিফার মাসুদ বলেন-এ বিরল পুরস্কারে পুলিশ বাহিনীর কাছে আমার পরিবার কৃতার্থ হয়েছে। আমার স্বামীর কর্ম, পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও ত্যাগের যথার্থ মূল্যায়ন করায় তিনি খুবই খুশী বলে জানান। তাঁর স্বামীর প্রাপ্ত এ বিরল সম্মাননা তাঁর জীবনের এক অবিস্মরণীয় ঘটনা বলে তিনি মন্তব্য করেন। এ.বি.এম মাসুদ হোসেন ২৪ তম বিসিএস (পুলিশ) ব্যাচের একজন চৌকষ ও মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তা। বিগত সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তিনি পুলিশ সুপার হিসাবে কক্সবাজারে যোগদান করেন। বরিশাল জেলার মেহেন্দীগন্ঞ্জে জন্মগ্রহণকারী এসপি এ.বি.এম মাসুদ হোসেন ঈসা ও মুসা নামক চোখজুড়ানো ফুটফুটে জমজ দুই পুত্র সন্তনের গর্বিত জনক। রাষ্ট্রীয় পদক প্রাপ্তির বিষয়ে কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহম্মদ ইকবাল হোসাইন জানান-একত্রে পাঁচজন পুলিশ কর্মকর্তা জাতীয় পদক পাওয়ায় কক্সবাজার জেলা পুলিশ পুরো দেশে একটি রোল মডেলে পরিনত হয়েছে। এই অসামান্য প্রাপ্তিতে জেলা পুলিশ সত্যিই গর্বিত ও পুলকিত। কক্সবাজার জেলা পুলিশের এই শুভলগ্নে ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন জেলা পুলিশের সকল সদস্য সহ জেলাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
এর আগে “পুলিশ জনতা ঐক্য গড়ি-মাদক জঙ্গি নির্মূল করি” এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের বাৎসরিক মহোৎসব নামে খ্যাত পুলিশ সাপ্তাহ ২০১৯ শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশ সদরদপ্তরের এআইজি আবিদা সুলতানার নেতৃত্বে পুলিশের ১১ টি পৃথক বাহিনীর সম্মিলিত প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহন করেন। ২০১৮ সালে সফল কৃতকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ বিপিএম এবং পিপিএম পদকের জন্য চুড়ান্ত মনোনীত ৩৪৯ জনের মধ্যে ৩৪৭ জনকে প্রধানমন্ত্রী নিজে পদক ও ব্যাজ পরিয়ে দেন। পদক প্রাপ্তদের তালিকার এক ও দুই নম্বর ক্রমিকে থাকা পুলিশ সদস্যদ্বয় দায়িত্বপালনকালীন সময়ে নিহত হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরে পুলিশ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির দিক নির্দশনা মূলক বক্তৃতা করেন এবং মধ্যাহ্যৃভোজে অংশ নেন।