লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ সরকারীভাবে ভবণ নির্মানের প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দ হলেও জমি জটিলতায় আটকে গেছে সরকারী একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবণ নির্মাণ। ফলে ভোগান্তিতে রয়েছেন সেখানকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ভবণ নির্মানের জন্য বিদ্যালয়টির টিন শেড ঘড় অন্যত্র সরানো হলেও শেষ পর্যন্ত জমি জটিলতায় আটকে আছে ভবণের কাজ। বর্তমানে বিদ্যালয়টির কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছেন খোলা আকাশের নীচে।
সরেজমিন আদিতমারী উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৩ কিলোমিটার দুরে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা ইউনিয়নের সলেডি স্পার-২ সংলগ্ন এলাকায় অবস্থিত গোবরধন চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। বিদ্যালয়টি ১৯৯৬ সালে চরাঞ্চলের শিশুদের লেখাপড়ার জন্য প্রতিষ্ঠিত করা হয়। তিস্তা নদীর একাধিকবার ভাঙ্গনে বিলীন হওয়ার পর সর্বশেষ সলেডি স্পার-২ সংলগ্ন এলাকায় মাত্র ৮ শতক জমি ক্রয় করে টিন শেড ঘর নির্মাণ করে কার্যক্রম চালু করা হয়। এরপর বিদ্যালয়টি জাতীয়করণ করা হয়। আসতে আসতে তিস্তা তীরবর্তী গরীব পরিবারের সন্তানরা সেখানে ভর্তি হয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। বর্তমানে বিদ্যালয়টি একশ ৭২ জন ছাত্রছাত্রী পাঠদান করছেন। কর্মরত রয়েছেন ৪ জন শিক্ষক।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সুত্রে জানাগেছে, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে উপজেলার ৭টি বিদ্যালয়ের জন্য নতুন ভবণ নির্মানের বরাদ্দ দেয় সরকার। প্রতিটি বিদ্যালয়ের জন্য কোটি টাকা করে বরাদ্দ দেয় সরকার। উপজেলার বাকি ৬টি স্কুলের ভবণের কাজ শেষ পর্যায়ে হলেও এখনও কাজ শুরু করতে পারেনি গোবরধন চর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টির। বিদ্যালয়টির জমি জটিলতায় আটকে আছে ভবণ নির্মাণ। ফলে ভোগান্তিতে রয়েছেন সেখানকার কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
প্রধান শিক্ষক কাজী শফিকুল ইসলাম বলেন, বিদ্যালয়ের পাশের বাড়ির মালিক রাজা মিয়ার কারণে নতুন ভবণ নির্মানের কাজ বন্ধ রয়েছে। তাকে টাকার প্রস্তাব দেয়া হলেও তা তিনি মানছেন না। তিনি আরও বলেন, একাধিকবার স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে বসা হলেও কোন সমাধান করা সম্ভব হয়নি।
আদিতমারী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (চলতি দায়িত্ব) এমএন শরীফুল ইসলাম খন্দকার বলেন, আমাদের কাজ হলে সরকারীভাবে বরাদ্দ দেয়া আর জমি আছে কিনা সেটি দেখবেন উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর।
আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলী (চলতি দায়িত্ব) আমিনুর রহমান বলেন, জমি জটিলতায় বিদ্যালয়টি ভবণ নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে বলে স্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন, একাধিকবার ঘটনাস্থলে গিয়ে এলাকার লোকজনকে বোঝানোর চেষ্টা করেও কোন লাভ হয়নি।
আবা/রিফাত