আমাদেরবাংলাদেশ ডেস্ক।। দুরূদে ইবরাহীম, আরবি উচ্চারণ, অর্থ সহঃ اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ. وَّعَلٰى اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلٰى اِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اٰلِ اِبْرَاهِيْمَ’ اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ. اَللّٰهُمَّ بَارِكْ عَلٰى مُحَمَّدٍ. وَّعَلٰى اٰلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلٰى اِبْرَاهِيْمَ وَعَلٰى اٰلِ اِبْرَاهِيْمَ. اِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ.
বাংলা উচ্চারণ
আল্লাাহুম্মা সল্লি ‘আলাা মুহাম্মাদ, ওয়া ‘আলাা আালি মুহাম্মাদ, কামাা সল্লাইতা ‘আলাা ইবরাাহীমা ওয়া ‘আলাা আালি ইবরাাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ। আল্লাাহুম্মা বাারিক ‘আলাা মুহাম্মাদ ওয়া ‘আলাা আালি মুহাম্মাদ, কামাা বাারকতা ‘আলাা ইবরাাহীমা ওয়া ‘আলাা আালি ইবরাহীম, ইন্নাকা হামীদুম মাজীদ।
💞
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর বংশধরের প্রতি রহমত নাযিল করো যেমন রহমত নাযিল করেছিলে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর বংশধরের প্রতি। নিশ্চয় তুমি প্রশংসনীয় ও মর্যাদাবান। হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর বংশধরের প্রতি বরকত নাযিল করো যেমন বরকত নাযিল করেছিলে ইবরাহীম আলাইহিস সালাম ও তাঁর বংশধরের প্রতি। নিশ্চয় তুমি প্রশংসনীয় ও মর্যাদাবান।
(সহীহ বুখারী, হাদীস:২৯৭০)
ফযীলত: হযরত আব্দুর রহমান ইবনে আবি লায়লা বলেন, আমার সাথে হযরত কা‘ব ইবনে উজরা রা. এর সাক্ষাত হল। তিনি বললেন, আমি কি তোমাকে এমন একটি হাদিয়া দিবো যা আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে শুনেছি? আমি বললাম, হ্যা আমাকে সেই হাদিয়া দিন। তিনি বললেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করেছি যে, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার প্রতি সালাম প্রেরণ করার বিষয়টি তো আল্লাহ তা‘আলা আমাদেরকে শিখিয়েছেন কিন্তু আমরা আপনার ও আপনার পরিবারবর্গের উপর দুরূদ কীভাবে পাঠাব? (উত্তরে) তিনি উপরোক্ত দুরূদটি পড়তে বললেন।
… .
দুরূদ শরীফ-এর ফযীলত
* রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘ঐ ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার সবচেয়ে নিকটে থাকবে, যে আমার উপর বেশি বেশি দুরূদ পাঠ করে।’ (তিরমিযী হাদীস নং-৪৮৩, শু‘আবুল ঈমান হাদীস নং-১৪৬২, ২০৫৬)
*রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দুরূদ শরীফ পাঠ করবে আল্লাহ তা‘আলা তার উপর দশটি রহমত নাযিল করবেন, তার দশটি গুনাহ মাফ করবেন এবং দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন। (মুসতাদরাকে হাকেম হাদীস নং-২০৫৬)
*রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- ‘আল্লাহ তা‘আলা বহু সংখ্যক ফেরেশতা এ কাজের জন্য নিয়োজিত রেখেছেন যে, তাঁরা জমীনে বিচরণ করতে থাকবে এবং আমার উম্মতের যে ব্যক্তি আমার উপর দুরূদ ও সালাম পাঠাবে (তাঁরা) তা আমার নিকট পৌঁছে দিবে।’ (নাসাঈ হাদীস নং-১২৮২/ শু‘আবুল ঈমান বয়ড়া হাদীস নং-১৪৮০)
* হযরত ইবনে আব্বাস রাযি. থেকে বর্ণিত আছে যে, ফেরেশতাগণ নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দরবারে তার নাম উল্লেখ করে দুরূদ পেশ করে থাকে। (শু‘আবুল ঈমান বয়ড়া হাদীস নং-১৪৮২)
* নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন- যে ব্যক্তি সকালে আমার উপর দশবার দুরূদ পড়বে এবং সন্ধ্যায় দশবার দুরূদ পড়বে কিয়ামতের দিন আমি তার জন্য সুপারিশ করব। (ত্ববারানী আউসাত হাদীস নং-৫২৩, মাজাউয যাওয়ায়িদ ১০: ১২০, নাসায়ী সুনানে কুবরা, হাদীস:৯৮৯০)
* উবাইদুল্লাহ বিন উমর কাওয়ারী রহ. বর্ণনা করেন, আমার প্রতিবেশী একজন কাতিব ছিলেন। তার ইনতিকালের পর স্বপ্নে তার সাথে আমার সাক্ষাৎ হল। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, আল্লাহ তা‘আলা আপনার সাথে কিরূপ আচরণ করেছেন? তিনি উত্তর দিলেন- আমাকে মাফ করে দিয়েছেন। আমি কারণ জিজ্ঞাসা করায় তিনি উত্তরে বললেন, কিতাব লেখার সময় যখনই নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক আসত, তখনই হুযুরের নামের সাথে সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম লেখা আমার অভ্যাস ছিল। এর বিনিময়ে আল্লাহ তা‘আলা আমাকে এমন নিয়ামত দান করেছেন, যা কোন চোখ কখনো দেখেনি, কোন কান কখনো শুনেনি, কোন অন্তর কখনো তার কল্পনাও করেনি।
আমাদেরবাংলাদেশ.কম/রাজু