নিজস্ব সংবাদদাতা।। যশোরের মনিরামপুরে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছেন ভ্যানচালক পাষন্ড স্বামী উজির আলী।
বৃহস্পতিবার ( ২৭ জুন) সকালে নেহালপুর ঝাউতলা এলাকা থেকে পুলিশ তাঁর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। এসময় নেহালপুর ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই আব্দুল হান্নান বলেন,গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১১ টা ৩০ মিনিটের সময় ঝাউতলা এলাকার ভাড়া বাড়িতে উজির আলী তার স্ত্রী পারভিনা বেগম-কে ধারালো দা দিয়ে গলা কেটে পালিয়ে যান। পরে স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় পারভিনা বেগমকে উদ্ধার করে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয় পরে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উক্ত বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সোহরাব আলী কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,বুধবার রাত ১১টার পরে হঠাৎ ফোনে জানতে পারি এক নারী-কে জবাই করে ফেলে রেখে তার স্বামী পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে নেহালপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আব্দুল হান্নান ও এ এস আই শরিফুল ইসলামসহ আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। ইউপি সদস্য সোহরাব আলী আরোও বলেন,হত্যার ঘটনায় রাতেই ফাঁড়ির পুলিশ উজির আলীকে ধরতে খোঁজা খুঁজি শুরু করেন। কিন্তু তাঁকে পাওয়া যায়নি পরে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজন ভাড়া বাড়ির পাশে একটি সজনে গাছের সাথে উজির আলীর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা বলেন উজির আলী ও তার স্ত্রী পারভিনা বেগমের মধ্যে টাকা পয়সা নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। গতকাল দিবাগত রাত ১১টার সময় তারা স্বামী-স্ত্রী ভাড়া বাড়িতে বসে কথা বলছিলেন একপর্যায় উজির আলী গাছ কাটার (ধারালো দা) দিয়ে স্ত্রীর গলায় কোপ বসিয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। এরপর স্ত্রীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান।
এছাড়া নিহত উজির আলী গাজী নেহালপুর ইউনিয়নের বালিধা গ্রামের হাতেম আলি গাজীর ছেলে। এছাড়া আহত পারভিনা বেগম একই গ্রামের দেন আলী গাজীর মেয়ে। পারভিনা বেগম উজির আলী গাজীর তৃতীয় স্ত্রী এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় উজির আলীর আরো দুইজন স্ত্রী বর্তমান আছেন। পেশায় তিনি ভ্যানচালক উজির আলী স্ত্রী পারভিনা-কে নিয়ে তিন মাস ধরে নেহালপুরে ঝাউতলায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন।
মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: তন্ময় বিশ্বাস বলেন,গৃহবধূর গলার কয়েকটা শিরা ও শ্বাসনালির কিছু অংশ কেটে গেছে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতেই তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছিল। এছাড়া নেহালপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আব্দুল হান্নান বলেন,আহত গৃহবধূকে খুলনা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তিনি এখন চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এছাড়াও ময়নাতদন্তের জন্য আত্মহত্যার শিকার উজির আলীর লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এবিডি.কম/শিরিন আলম