মোঃ ইউনুচ আলী, মণিরামপুর, যশোর থেকেঃ যশোরে আদালতের নির্দেশে দুই মাস পর গৃহ বদ্ধুর লাশ উত্তোলন, মামলার বাদী নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছে। গত ১০ ডিসেম্বর উপজেলার ফেদাইপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের স্ত্রী ২ সন্তানের জননী গৃহ বদ্ধুকে রাতে যে কোন সময়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বাড়ির সীমানার তারের বেড়ার সাথে ঝুলিয়ে রাখা হয়। নিহাতের স্বামী ও তার পরিবারের অভিয়োগ হত্যার ঘটনা আড়াল করতে ঘাতকরা তাকে ধর্ষনের পর হত্যা করে গলায় ওড়না পেচিয়ে লাশ ঝুলিয়ে রখে। নিহাতের স্বামী মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে তার স্ত্রীকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে অভিয়োগ এনে আদালতে একই গ্রামের বুলবুল খাঁ (৩০) ও তার পিতা আমিন উদ্দীন (৫৩) এর বিরুদ্ধে তার স্ত্রীকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে অভিয়োগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেন। যার সি আর নং ১৯/১৯। মামলাটি আদালতের নির্দেশে ২১ জানুয়ারী মণিরামপুর থানায় এজাহার ভূক্ত হয়। যার মামলা নং ১৬(১)১৯ । পরদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্ত এস আই খান আব্দুর রহমান লাশ ময়না তদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেন। ২২ জানুয়ারী মামলার তদন্তকালী কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেড আদালতের বিচারক নুসরত জাবীন নিম্মি লাশ উত্তোলনের জন্য এ আদেশ দেন। আদেশের পেক্ষিতে বুধবার দুপুরে ১ মাস ২৬দিন পর কবর থেকে ১২ টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্টেড আয়েশা সিদ্দিকা, থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি সহিদুল ইসলাম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা খান আব্দুর রহমানের উপস্থিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়। লাশ উত্তোলনের পর মামলার বাদী চরমভাবে আসামীদের হুমকিতে রয়েছে।