
রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)সংবাদদাতা।। ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ করনাইট দীঘিয়া ব্লকে ২৫ জানুয়ারি সোমবার সকালে ১৪ জন কৃষকের ১৫০ বিঘা জমিতে ট্রান্স প্লান্টার মেশিনের দ্বারা ধানের চারা রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
এ উপলক্ষে কৃষি অফিসের আয়োজনে এ দিন দিঘিয়া ব্লকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল সুলতান
জুলকার নাইন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেব কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আজম মুন্না, ইউপি চেয়ারম্যান এনামুল হক ও আব্দুর রহিম। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে কৃষি অফিসের বিভিন্ন কর্মকর্তা, ঐ ব্লকের প্রায় দুই শতাধিক কৃষক-কৃষাণী ও সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় দেবনাথ। তিনি তার বক্তব্যে বলেন ,প্রান্তিক কৃষকদের লাভবান করে তুলতে এবং সরকারের এই মহতি উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন বিভিন্ন কৃষি প্রদর্শনীর মাধ্যমে । তারই অংশ হিসেবে ২০২০-২০২১ রবি মৌসুমের প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সমতলে চাষাবাদ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে হাইব্রিড বোরো ধানের চারা রাইস ট্রান্সপ্লান্টার যন্ত্রের দ্বারা চারা রোপনের মাধ্যমে উপজেলার প্রান্তিক কৃষকদের লাভবান করে তুলতে এ প্রদর্শনীর কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে ।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে,এ প্রদর্শনীতে প্রণোদনা হিসেবে চারা রোপণ থেকে ধান কাটা পর্যন্ত ১২ লক্ষ ২১:হাজার টাকা ব্যয় করা হবে। শস্য নিবিড়তা বৃদ্ধি, সময় মত কৃষি কাজ সম্পাদন, পণ্যের উৎপাদন খরচ কমানো, অপচয় রোধ, শ্রমিকদের কায়িকশ্রম লাঘব, শ্রমিকের অভাব পুরণ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি সর্বোপরি কৃষিকে আধুনিক ও আকর্ষণীয় পেশায় পরিণত করার জন্য কৃষিতে লাগসই যান্ত্রিকায়ন ব্যবস্থাপনা করাই এ প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য বলে কৃষি কর্মকর্তারা জানান।
কৃষি কর্মকর্তা আরো জানান , ইতোমধ্যে এ প্রদর্শনীতে মোট বরাদ্দের একর প্রতি কৃষকের জমিতে ১০০ কেজি ইউরিয়া, ৪৫ কেজি ডেপ, ৫০ কেজি পটাশ, ৪৫ কেজি জিপসাম ও ৪ কেজি দস্তা সার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রান্তিক কৃষকেরা অনেক লাভবান হবেন।