বিশেষ প্রতিবেদক।। সাংবাদিকতা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা, যেখানে সত্য প্রকাশ করাই প্রধান লক্ষ্য। এই অঙ্গনে যারা আপসহীনভাবে কাজ করেন, তাদের মধ্যে অন্যতম এক নাম মোঃ খায়রুল আলম রফিক। বিরল প্রতিভার অধিকারী এই মানুষটি সাংবাদিকতার কঠিন বাস্তবতায় নিজের সততা, নিষ্ঠা ও সাহসিকতার জন্য পরিচিত। তিনি কেবল একজন সাংবাদিক নন, গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য এক অনন্য অভিভাবকও।
একজন আপসহীন সাংবাদিক: সাংবাদিক মোঃ খায়রুল আলম রফিক তার কর্মজীবনে কখনোই সত্যের সঙ্গে আপস করেননি। যেকোনো পরিস্থিতিতেই তিনি সাহসের সঙ্গে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা চালিয়ে গেছেন। তার কলম সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার থেকেছে। বিশেষ করে দুর্নীতি, অনিয়ম ও সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষার বিষয়ে তিনি ছিলেন অকুতোভয়। গণমাধ্যম কর্মীদের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়িয়ে তিনি এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের আন্দোলন হোক কিংবা কোনো সাংবাদিক নিপীড়নের শিকার হলে তাদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টি—সব ক্ষেত্রেই তিনি ছিলেন সরব ও অগ্রণী ভূমিকা পালনকারী।
সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান: খায়রুল আলম রফিকের সাংবাদিকতায় অবদান অসামান্য। অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তিনি নতুন মাত্রা যোগ করেছেন। তার লেখনীতে উঠে এসেছে সমাজের অসঙ্গতি, অন্যায়, দুর্নীতি ও সাধারণ মানুষের দুঃখ-দুর্দশার বাস্তব চিত্র। বহু জটিল ও স্পর্শকাতর বিষয়ে তার নির্ভীক প্রতিবেদন প্রশাসনকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার পাশাপাশি তিনি তরুণ সাংবাদিকদের পথপ্রদর্শক হিসেবেও কাজ করছেন। অনেক নতুন সাংবাদিক তার দিকনির্দেশনায় নিজেদের ক্যারিয়ার গড়ে তুলছেন।
গুণী সাংবাদিকদের হাতে গড়া এক প্রতিভা:সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক মনে করেন, তার সাংবাদিকতার মূল শিক্ষা এসেছে দেশবরেণ্য সাংবাদিক সাঈদুর রহমান রিমন ও চারণ সাংবাদিক মনোনেশ দাসের কাছ থেকে। তাদের সান্নিধ্য ও প্রশিক্ষণে তিনি হাতে-কলমে সাংবাদিকতার নানা দিক শিখেছেন। তিনি বলেন, “আমি তাদের শিষ্য হতে পেরে গর্বিত। তারা আদর্শবান ও নির্ভীক সাংবাদিক। তাদের কাছ থেকেই শিখেছি কীভাবে আপসহীন সাংবাদিকতা করতে হয়।”
সাংবাদিকদের জন্য একজন অভিভাবক: বিপদে-আপদে সাংবাদিকদের পাশে দাঁড়ানো খায়রুল আলম রফিকের অন্যতম গুণ। যে কোনো সংকটে তিনি সমাধানের পথ খুঁজতে সাংবাদিকদের নিয়ে কাজ করেন। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনেও তিনি সম্মুখভাগে থাকেন।
উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রত্যাশা: সাংবাদিক খায়রুল আলম রফিক তার সততা, নিষ্ঠা ও কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় যে অবদান রেখে চলেছেন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থেকে তিনি যে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন, তা আগামী দিনের সাংবাদিকদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সাংবাদিকতার এই মহান পেশায় তিনি আরও বহু বছর নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করবেন-এটাই সকলের প্রত্যাশা।
এবিডি.কম/সিয়াম