সুনামগঞ্জ-১আসনের সাংসদ ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি লিখেছেন,,,,,,,
”আমি কৃষকের সন্তান। এই কৃষক শব্দটি আমার কাছে অতি গৌরবের। পূর্বের দিনগুলোতে আমি আপনাদের ভালবাসায় বার বার সিক্ত হয়েছি। আপনাদের মহামূল্যবান ভোট প্রদানের মাধ্যমে আপনাদের পাশে থাকার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন। আপনাদের পাশে পেয়ে আমি নির্ভয়ে ছুটে চলেছি আমার লক্ষ্য ও আপনাদের কাঙ্খিত চাওয়া পাওয়া বাস্তবায়নের দিকে।
আমরা আজ আমাদের পরিকল্পিত স্বপ্নের বাস্তবায়নের ধারপ্রান্তে। আপনাদের বিপুল ভোটের মাধ্যমে জয়ের মালা গলায় নিয়ে আমার চলার শুরু। আপনাদের একান্ত ইচ্ছে শক্তিতে ও আপনাদের মহামূল্যবান ভোটের জন্য আজ আমি সংসদ সদস্য। কিন্তু আমি কখনই আপনাদের ভুলে থাকিনি। আমি বলেছিলাম ক্ষমতায় এলে আপনাদের উন্নয়ন করবো, আপনাদের চাহিদার বাস্তবায়ন সাধ্যমত চেষ্টা করবো। আমি বুকে সাহস নিয়েই বলি আমি সেই প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন সুনামগঞ্জ-১ আসনের জনগনের কাছে বাস্তব প্রমাণ রাখতে সক্ষমতা অর্জন করেছি ও বিরতিহীনভাবে সেই ধারাবাহিক উন্নয়ন করে যাচ্ছি।
ইতিমধ্যে আপনারা দেখেছেন আমার ১১ টি বছরের কার্যক্রম। রাস্তাঘাট নির্মাণ, বিদ্যুৎসরবরাহ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অবকাঠামো নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহন ও তার সঠিক বাস্তবায়ন। রাস্তাঘাট-মসজিদ-মন্দির, কলেজ-স্কুল, মাদ্রাসা, হাসপাতাল-কমিউনিটি ক্লিনিক, ব্রিজ, সাইক্লোনের সেন্টার, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ, হাইস্কুল/কলেজ সরকারিকরণ, আওয়ামী লীগের নিজস্ব অফিস নির্মাণ, কৃষি ভর্তুকীর ব্যবস্থা করা, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, সৌর বিদ্যুৎ, পাকা রাস্তা, নিরাপদ পানির ব্যবস্থা, বিভিন্ন হাট বাজারসহ প্রায় সব গ্রামে গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
সে গৌরব আমার একার নয় তা আপনাদেরও এবং তা আপনাদের ভোটের সঠিক মূল্যায়ন। যে প্রতিশ্রুতি আমি জনগনকে দিয়েছিলাম সে প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সব বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছি।
পৃথিবীর খুব কম জায়গায় এমন অসাম্প্রদায়িক, সংস্কৃতিমনা, সম্প্রীতির জনগন পাওয়া খুব কঠিন। তাই এ অঞ্চলকে নিয়ে আমি ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখতাম। স্বপ্ন দেখতাম প্রতিটা মানুষকে নিয়ে, যেখানে প্রতিটা মানুষ হবে সুখি, জীবন হবে উন্নত, পড়ালেখার পাশাপাশি, খেলাধুলায় যুগের সাথে তাল মিলিয়ে থাকবে এগিয়ে, যেকানে থাকবেনা হানাহানি, সন্ত্রাস, থাকবেনা কোন প্রতিহিংসা, চিকিৎসা এবং জীবনমান থাকবে উন্নত।
ছোট বেলা থেকে ফসলডুবি দেখতে দেখতে আমাদের অভ্যাসে পরিনত হয়ে গেছে। চেয়েছিলাম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপের মাধ্যমে ফসল ডুবি থেকে মানুষকে রক্ষা করবো। এর মাঝে বিগত বছর থেকে এর বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহন করে সফলতার সাক্ষর রাখতে পেরেছি এটা আমার ও আপনাদের সম্মিলিত আরেকটি অর্জন। হা অর্জন এমনি থাকবে। আমাদের প্রতিটা অর্জনে থাকবে সবার সমান অংশীদারিত্ব। অন্যায়ের প্রতিবাদও হবে একসাথে, একবাক্যে। যাদেরকে আমি তাড়িয়ে দিয়েছি, তাঁরা খুবই ভয়ানক। তাঁরা বিভিন্নভাবে আমার অগুচরে এই আসনে লুটপাটসহ বিভিন্ন ভয়াবহ কর্মকান্ডে যুক্ত ছিল। আমি জেনেশুনেই সবাইকে সাথে নিয়েই তাদেরকে জনগনের কাছ থেকে বিতাড়িত করে দিয়েছি। তাদের নেংরা অপ্রচারে আপনারা বাধাগ্রস্ত হবেন না।
এই অপ্রচারে আমি শঙ্কিত নই বরং আমি দিনের মত পরিষ্কার কিছু মানুষরুপি জানুয়ারকে আমি চিনতে সক্ষম হয়েছি। এরা আর কখনোই আপনাদের ক্ষতি করতে, আপনাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বিরত রাখতে পারবে না। তাঁরা যে আমার নামে মিথ্যাচার করছে এর দশভাগের একভাগও সত্য নয়। এটা খুব শীঘ্রই দিনের মত পরিষ্কার হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ আমি আপনাদের সন্তান। আপনাদের রতন। আমি আপনাদের চাহিদা ও আমার দেয়া প্রতিশ্রুতি ধরে রাখতে চেষ্টা করেছি। সব রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বিপদে আপদে সুখে দুখে, সভা সেমিনার মিটিং মিছিলে জনগনের সাথে থাকার চেষ্টা করেছি। এলাকায় অবস্থানের চেষ্টা করেছি বিশেষ কারণ ছাড়া বাহিরে অবস্থান করিনি কখনই। সঙ্গ দেবার চেষ্টা করেছি সবাইকে। আমার প্রিয় নির্বাচনী এলাকার সবার কাছে আহবান জানাচ্ছি আর পেছনের যাবার বেলা নেই। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে আপনাদের উন্নয়নে আমি এমন কিছু পদক্ষেপ গ্রহন করেছি যা যে কোন সংসদীয় আসনের জন্য হবে অনুকরণীয়। আমরা অনেক এগিয়ে গিয়েছি আরও এগিয়ে যেতে হবে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিতে হলে আওয়ামী লীগ এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। আল্লাহ নিশ্চই আমাদের পাশে আছে আমার সহায় হবেন।